মামলার বিবরণ দিয়ে পুলিশ জানায়, ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল সকালে ওই গৃহবধূ তার স্বামীর বাড়ি থেকে ছোট বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। রাত ৭ টার দিকে সেখান থেকে রিক্সা যোগে বাড়ি পথে নিখোঁজ হয় ওই গৃহবধু। নিখোঁজের সাত দিন পর ২৭ এপ্রিল বন্দরেন ত্রিবেনী এলাকায় একটি ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশি তদন্তে বেড়িয়ে আসে সাজা প্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে ফারুকের সঙ্গে বিয়ের আগে প্রেমের সর্ম্পক ছিলো গৃহবধুর। ঘটনার দিন শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পথে রাস্তায় ফারুকের সঙ্গে দেখা হয় তার। পরে রাস্তা থেকে ফারুকসহ তার দুই সহযোগি তাকে ত্রিবেনী এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে কথা বলার ছলে গৃহবধুকে আটককে রাখে। এরপর পলাক্রমে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে দেয়। পরবর্তীতে আসামিরা গ্রেপ্তারের পর আদালতে স্বিকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা ও লাশ গুম করার মামলায় ৬ জনের সাক্ষ্য শেষে আদালতের রায়ে তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। তবে আসামিরা জামিনে বেড়িয়ে পলাতক হওয়ার তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।