Tnntv24. নিজস্ব প্রতিবেদক:
ছাত্র – জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে কিশোর হুসাইন নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ক্যাবিনেটের সাবেক একাধিক মন্ত্রী, এমপিসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে।বুধবার রাত ১১ টার পর এই হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা মানিক মিয়া।
মামলার অপরাপর আসামীরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক জনপথ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক হুইপ ও এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক, শামীম ওসমান, কায়সার হাসনাত, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান।
আসামীদের মধ্যে আরো যারা – সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সফিকুল ইসলাম, কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, মতির অন্যতম সহযোগী পানি আক্তার, মানিক মাস্টার, ভগ্নে মামুন, কাউন্সিলর নূর উদ্দিন মিয়া,কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, সিরাজ মন্ডল, চাঁন মিয়া, শিব্বির আহমেদ,ইকবাল হোসেন, তামিজ বাবু, আমিনুল হক রাজু, যুবলীগ নেতা গুলু মেম্বার, হুমায়ুন কবির, যুবলীগ নেতা মো.সোহেল, যুবলীগ নেতা মানিক সরকার, যুবলীগ নেতা মো. শরিফ, মহানগর আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সিদ্ধিরগঞ্জ শ্রমিক লীগ সভাপতি সামাদ বেপারী, সাবেক কাউন্সিলর মো.ওমর ফারুক, সেলিম মজুমদার, তানজিম কবির সাজু, রমজান,মতিন মাস্টার, রূপগঞ্জ কায়েতপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদ আলী।
মামলার বাদী মানিক মিয়া উল্লেখ করেছেন, গত ২১ জুলাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দেশি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র গুলি বর্ষণ করে, ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এলাকায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। তখন বাদীর সন্তান হুসাইন ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে শিমরাইল এলাকায় ডাচ বাংলা ব্যাংকের সামনে বিকেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়।
উল্লেখ্য, এর আগে সিদ্ধিরগঞ্জে মাছ বিক্রেতা মিলন একই তারিখে গুলি বিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া ঘটনায় ১৮ আগস্ট শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়।