খুনিকে দেশ থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার
সুযোগ দেওয়া হয়-হাসনাত আব্দুল্লাহ
Tnntv24.নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বৃহস্পতিবার ( ০৮ মে ) সকালে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে লেখেন, খুনিকে দেশ থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, পুলিশ আসামি ধরলেও আদালত থেকে জামিন দেওয়া হয়। শিরীন শারমিনকে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে বাসায় গিয়ে পাসপোর্ট করে দেওয়া হয়।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের নয় মাস পরে গণহত্যার দৃশ্যমান কোনো বিচার হয়নি। বরং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী-এমপিরা সেফ-এক্সিটে দেশ ছেড়ে বিদেশে আয়েশি জীবন-যাপন করছেন। এর মধ্যেই বুধবার মধ্যরাতে দেশ ছাড়েন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এ সময় ছেলে ও শ্যালক তার সঙ্গে ছিলেন।
পোস্টে হাসনাত লেখেন, খুনিকে দেশ থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, পুলিশ আসামি ধরলেও আদালত থেকে জামিন দেওয়া হয়। শিরীন শারমিনকে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে বাসায় গিয়ে পাসপোর্ট করে দেওয়া হয়।
তিনি আরও লেখেন, দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল জানুয়ারিতে হওয়ার কথা থাকলেও মে মাসে এসেও শুরু হয়নি। আর আপনারা বলছেন আওয়ামী লীগের বিচার করবেন?
সবশেষ অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি লেখেন- তা ইন্টেরিম, এখন পর্যন্ত কী কী বিচার ও সংস্কার করেছেন?
ছেলে-শ্যালকসহ দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ
প্রসঙ্গত, বুধবার দিবাগত রাত তিনটা পাঁচ মিনিটে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে থাইল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেন। বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, রাত ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ। এ সময় তার সঙ্গে ছেলে রিয়াদ আহমেদ ও শ্যালক ড. এ এম নওশাদ ছিলেন। সেখানে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় যাচাইবাছাই শেষে দেশ ছাড়ার সবুজ সংকেত পান সাবেক রাষ্ট্রপতি।
আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কোনো সংস্থার কাছে কোন অভিযোগ ছিল না বলে জানা গেছে। রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে তারা তিনজন ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেন।
উল্লেখ্য, আবদুল হামিদ আওয়ামী লীগের সময় ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার আগে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে থাকাকালে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমেছে।