Tnntv24.নিজস্ব প্রতিবেদক:
যারা নির্বিচারে মানুষ খুন করেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, অবিলম্বে বিচারের মাধ্যমে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বিচার কার্য শুরু করতে হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী শাস্তির রায় হবে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সিদ্ধিরগঞ্জে রেবতি মোহন পাইলট স্কুল এন্ড কলেজে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন এসব কথা বলেন।
মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন আরো বলেন, সেই রায়ের কারণে কেউ বিদেশে পালিয়ে থাকুক কিংবা এই দেশে থাকলে, তাদেরকে গ্রেফতারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যায়কারী অত্যাচার করে যদি শাস্তি না পায়, আগামী দিনে আরো নতুন অন্যায়কারী তৈরি হবে। অন্যায় করতে সাহস পাবে। সেটা হতে দেওয়া যাবে না।
সন্ত্রাস, মাদক, চাঁদাবাজি, লুটপাট, নৈরাজ্য ও অপকর্মের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে, ৫নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন। জনসভায় সভাপতিত্ব করেন ৫নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম এবং সঞ্চলনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মো. জিল্লুর রহমান।
তিনি বলেন, এই সন্ত্রাসী ফ্যাসিস্ট সরকারকে আমরা দীর্ঘ আন্দোলনের মাধ্যমে বিতাড়িত করেছি। আমরা অনেক রক্ত ঝরিয়েছি। দীর্ঘ ১৬ বছর হাসিনা সরকার এদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। দেশের সম্পদ ও অর্থ লুটপাট করে ব্যাংক খালি করে দিয়েছিল। অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছিল। আমাদের কাজ এখন তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো। এই সন্ত্রাসীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হলো আমাদের প্রথম দায়িত্ব। যদি আমরা তা না করি, এরা আবার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের মানুষের উপর চেপে বসবে।
সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের শ্বশুর বাড়ির লোকদের নিয়ে গিয়াসউদ্দিন বলেন, এই সিদ্ধিরগঞ্জের মানুষ জানে ওই গডফাদারের শ্বশুর বাড়ির লোকেরা যারা কোনদিন রাজনীতি করেনি তারা কতটা দাপট চালিয়েছে। সমাজকল্যাণ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে তারা দখল করে নিয়ে গেছিলো। শিক্ষা নেই, যোগ্যতা নেই, নির্লজ্জ বেহায়ার মত ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তারা এগুলো দখল করেছে। সাইলো গেটের ভাঙচুরা তারা করেছিলো। লজ্জায় আমাদের মাথা হেট হয়ে গেছে। জীবনে কখনো রাজনীতি করেনি, কিন্তু সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজি করেছে। আর আমাদের নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
জনসভায় আরও বক্তব্য দেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মো. মাজেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম জুয়েল, সহ-সভাপতি আব্দুল আল মামুন, সহ সভাপতি জি.এম. সাদরিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আকবর হোসেন, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মুহাম্মদ কায়সার রিফাত, জেলা তরুণ দল নেতা টি এইচ তোফা।
আরও উপস্থিত ছিলেন, ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. রওশন আলী চেয়ারম্যান, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আলী, ৩ নমাবর ওয়ার্ড বিএনপির সভপতি মো. তৈয়ব হোসেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মো. আবুল হোসেন, ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মো. মোস্তফা, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মো. দিদার আলম, ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি ডি.এইচ. বাবুল, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি অ্যাড. মাসুদুজামান মন্টু, ১০নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আনিস শিকদার।