ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দখল করে অবৈধ দোকানপাট
ভোগান্তিতে যাত্রী পথচারী
Tnntv24. শফিকুল আলম ভূইয়া:
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা গাউছিয়া এলাকা উচ্ছেদ অভিযানের দেড় মাস পর ফের হকারদের দখলে চলে গেছে। সড়কের ১ কিলোমিটার অংশের যে দিকে চোখ যায় সেদিকেই শুধু দোকান পাট আর দোকান পাট। সড়কের দুইপাশে কাপড় কাঁচাবাজার , মাছ, তরকারি, , জুতা, চটপটি, ফুচকা ও ফলের পসরা সাজিয়ে ব্যবসায়ীরা কেনাবেচা করছে। বিভিন্ন ধরণের পণ্য কেউ কেউ ভ্যানগাড়ি করে বিক্রি করছে। এ কারণে যান চলাচলের জন্য জায়গা থাকে খুবই কম। তাতে যানজট পোহাতে হয় দূরপাল্লার যানবাহনকে। হাইওয়ে পুলিশের নজরদারীর অভাবে এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রূপগঞ্জের ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের পাশেই মহাসড়ক অবৈধ দখলদারদের দখলে। সাওঘাট থেকে ভুলতা পর্যন্ত মহাসড়কের একপাশে কাঁচাবাজার ও অপর পাশে কাপড়, জুতা, ফলের দোকানদারদের দখলেই থাকে। ভুলতা ও গোলাকান্দাইল ফ্লাইওভারের নিচে প্রতিনিয়ত বসছে কলা ও আখ বিক্রেতাদের শতাধিক ভাসমান দোকান। মহাসড়ক জুড়ে অরক্ষিত থাকায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। এছাড়াও মহাসড়ক জুড়ে পিকআপ ভ্যান, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকারের একাধিক ষ্ট্যান্ড রয়েছে। ফলে যানজট নিরসন করা যাচ্ছে না। গত ত মাসে ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা ও অটোবাইক বেড়েছে রূপগঞ্জে ৫০ শতাংশ। ভলতা -গোলাকান্দাইল এলাকায় উল্টো পথে সিএনজি ও অটোরিকশা চলাচলের কারণেও নিয়মিত সড়ক দুর্ঘটনা এবং যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
মহাসড়কের নির্দিষ্ট স্থান পর্যন্ত স্থায়ী-অস্থায়ী স্থাপনা বা বাজার বসা সম্পূর্ণ অবৈধ। কিন্তু সড়কের উপর ও সড়ক ঘেঁষে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা র্দীঘদিন ধরে স্থানীয় চাঁদাবাজদের দখলে রয়েছে।
সরকার পতনের পরে রূপগঞ্জ থানার পুলিশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজে ফিরলেও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতা থেকে রূপসী পর্যন্ত অসহনীয় যানজট থাকে। ফুটপাত হকাররা দখল করে দোকানপাট বসিয়ে রমরমা ব্যবসা বাণিজ্য করে যাচ্ছে। গত দেড় মাস আগে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়। তার একদিন পরেই মহাসড়কের উভয়দিকে এক কিলোমিটার জুড়ে হকারদের ফের দখলে চলে যায়।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানভুইয়া দিপু বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক রাজধানীর পূর্বাঞ্চলীয় জেলার মানুষদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সড়ক বেদখল হওয়া কারো কাম্য নয়। যেকোন মূল্যে অবৈধ দখলদারীদের উচ্ছেদ করে সড়ক চলাচলের উপযোগী করে তুলতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন নজরদারি করলে অব্শ্যই এ সড়কের পথচারী ও যাত্রীদের চলাচলের পথ সুগম হবে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি লিয়াকত আলী বলেন, মহাসড়কের নিরাপত্তার স্বার্থে অবৈধ দললদারদের উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত আছে। তবে এখান থেকে অন্যত্র ব্যবসায়ীদের সরিয়ে নিতে পারলে যানজট নিরসন সহজ হতো।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, জন দুর্ভোগ নিরসনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতা গাউছিয়া অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কঠোরভাবে দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।