Tnntv24.রূপগঞ্জ( নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক বলেছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় আগামীতে আরো উন্নয়ন করতে নিজস্ব প্রযুক্তি ও দক্ষ্য বিশেষজ্ঞ তৈরী করা হবে। আগামীতে ভুমিকম্পে বড় ধরনের দুর্যোগ হলে তা মোকাবেলা করতে কি কি দুর্বলতা আছে তা চিহ্নিত করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগে অনুসন্ধান উদ্ধার অভিযানের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরকে ১১টি এরিয়াল প্লাটফর্ম ল্যাডার অত্যাধুনিক গাড়ির চাবি হস্তান্তর করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।
শনিবার ( ১৯ অক্টোবর ) সকালে নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জে পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, মাল্টিপারপাস টেনিং গ্ৰাউন্ডে এ গাড়িগুলো হস্তান্তর করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক।
এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক বলেছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় উপকূললীয় ব্যবস্থাপনা আন্তর্জাতিক ভাবে প্রশংসিত হয়েছে। আগামীতে আরো উন্নয়ন করতে আমাদের নিজস্ব প্রযুক্তি ও দক্ষ বিশেষজ্ঞ তৈরী করা। সকল রকম দুর্যোগ মোকাবেলায় জনগণকে সম্পৃক্ত করে দক্ষ সেচ্ছাসেবী ও আধুনিক প্রযুক্তি গড়ে তুলবো। দেশের ৬০ থেকে ৭০ টা জেলায় মানুষ দারিদ্রসীমায় প্রোটিনের অভাবে রয়েছে। আমরা তাদের প্রোটিনের অধিকার রক্ষায় এটাকেও দুর্যোগ হিসেবে আখ্যায়িত করছি। এজন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে এ জনগোষ্ঠীকে দরিদ্র সীমার নিচ থেকে তুলে আনার জন্য। আগামীতে ভুমিকম্পে বড় ধরনের দুর্যোগ হলে তা মেকাবেলা করতে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। ও কি ধরনের দুর্বলতা আছে তা চিহ্নিত করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানের প্রথমে ১১টি এরিয়াল প্লাটফর্ম ল্যাডার গাড়ি পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক সহ অতিথিরা।
এসময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরী ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ নাহিদ আজগর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের সচীব মোঃ কামরুল হাসান।
প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য দুর্যোগকালীন উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জরুরি সাড়া প্রদানের লক্ষ্যে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য পেশাগত দক্ষতা ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি একটি উন্নতপ্রযুক্তি সম্পন্ন ও সমন্বিত জরুরী সাড়া প্রদান পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের সম্পদহানি হ্রাস এবং জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষা করা।
এ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় গত ০৫ জানুয়ারী ২০২১ তারিখে অনুমোদিত হয়। এ প্রকল্পটির মোট ২৬.৮৯ কোটি টাকা ব্যায় ধরা হয়েছে।