কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার দায়ের করা সোনারগাঁ থানায় ধর্ষণ মামলায় ১৪ দফায় শেষ পর্যায়ের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর এস এম শফিকুল ইসলামের তৃতীয় দফায় সাক্ষ্য গ্রহণ করার জন্য আদালতে আনা হয় ।
আদালত দুপুরে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে শেষ সাক্ষ্যগ্রহণ করে। এরপর তার আইনজীবীরা আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার পর কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয় হেফাজত নেতা মামুনুল হককে। নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর এস এম শফিকুল ইসলাম তৃতীয় দফায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সর্বশেষ গত ৬ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত এই মামলায় ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের পূর্ণ সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করা অবস্থায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে নিয়ে যান। ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁও থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী জান্নাত আরা ঝর্ণা। কিন্তু মামুনুল হক দাবি করেছিলেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। এমন দাবীর স্বপক্ষে মামুনুল হক এখনো পর্যন্ত কোন দালিলিক প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করতে পারেন নাই বলে দাবি করেছে সংশ্লিষ্টরা ।