রমজান উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ পাইকারি ও খুচরা বাজার পরিদর্শন করেছেন। বুধবার দুপুরে নগরীর দিগু বাবু বাজার ও নিতাইগঞ্জ খুচরা এলাকায় মনিটরিংয়ে যান তাঁরা।
বাজার পরিদর্শন কালে মুদি দোকান, কাঁচা বাজার, মাছের বাজার, মাংসের বাজারে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক । এসময় কিছু কিছু দোকানী প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়। এছাড়া জেলা প্রশাসক মো, মাহমুদুল হক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমির খসরু দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে চাল, ডাল, খেজুরসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সঠিক দাম যাচাই বাছাই করেন। কিছু দোকানদার পাইকারি ডাল কেনার রশিদ দেখাতে না পারায় তাদের দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এছাড়া প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকা ঝোলানোর জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।
অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামান, ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম, ক্যাব নারায়ণগঞ্জের যুগ্ম সম্পাদক বিল্লাল হোসেন রবিনসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করেছি, যাতে রমজানে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা বাজার পরির্দশন করেছি। বাজারে খেসারির ডালের দাম একটু বেশী, আমরা মুরগী ও গরুর মাংসের বাজারেও গিয়েছিলাম। আমরা পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীদের পণ্যের রশিদ এবং পণ্য তালিকা দোকানে ঝুলানো কিনা দেখছি। কোন ব্যবসায়ী যাতে অসাধু উদ্দেশ্যে মূল্য বৃদ্ধি না করতে পারে সেই বিষয়ে আমাদের মনিটরিং অব্যহত থাকবে। আমরা বাজারে আসলে কিছু দোকানদার পালিয়ে যায়, তাদের হয়তো কোন অনিয়ম থাকতে পারে। আমাদের প্রশাসনের ছায়া তদন্ত থাকবে, এছাড়া পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা থাকবে। সবাই তদন্ত করে দেখছে কেউ বাজারে পন্য দাম বৃদ্ধি করে কিনা।