মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধে সচেতনতা ও সর্তকা মুলক অভিযান শুরু করেছে বিআরটিএ। গত ২ মার্চ থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ এ অভিযানে নামে। শনিবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভূলতা এলাকায় এ অভিযান চলে। সকাল থেকে সচেতনতা মূলক লেখা ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন, লিফলেট বিতরণ, মাইকযোকে প্রচারসহ নানা কর্মসূচি পালন করে। এতে যোগ দেন হাইওয়ে পুলিশ, নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠন।
দুপুরে অভিযানে উপস্থিত হয়ে বিআরটি এর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, মহাসড়ক গুলোতে কোন অবস্থায় অযান্ত্রিক যানবাহন চলতে দেয়া হবে না। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের নিদের্শ রয়েছে। আমরা মাস ব্যাপী কর্মসূচি শুরু করেছি। আজ পর্যন্ত সবাইকে সচেতন ও সর্তক করা হয়েছে। আগামীকাল থেকে আমরা আইনী ব্যবস্থা শুরু করব। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি যানবাহন চালকদের পাশাপশি স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মালিকদেরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। ধীরগতির গাড়ি ইজিবাইকসজ সব ধনের অযান্ত্রিক গাড়ি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয় হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব অযান্ত্রিক যানবাহন বন্ধ হলে মানুষের চলাচলেরও প্রয়োজন আছে। তাই আমরা বিআরটিসি কে অনুরোধ করেছি গাড়ি চালানোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। বিআরটিসি এরই মধ্যে গাড়ি চালানো শুরু করেছে। তিনি বলেন, মানুষ সচেতন না হওয়ায় দুর্ঘনা ঘটছে এবং এতে অনেক মানুষ হতাহত হচ্ছে। একটি ইজিবাইকে ৭-৮ জন যাত্রী থাকে, কোন গাড়ি ধাক্কা দিলে গাড়ির সবাই মারা যায়।
কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে নিরাপদ সড়ক চাই এর চেয়ারম্যান চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ৩০ বছর আগে আমি যখন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন শুরু করি তখন কেউ এটা বুঝত না। এখন সকলে বুঝে সরকারি সংস্থার পাশাপাশি মানুষ এগিয়ে এসেছে। নিরাপদ সড়কের জন্য উচ্চ আদালতও নির্দেশ দিয়েছে। তিনি বলেন, জনগণের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও সচেতন হতে হবে। সারাদেশে আমার একার পক্ষে প্রচার ও সচেতনতা করা সম্ভব না। এজন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষার্থীসহ সবাইকে নিজ নিজ এলাকার মানুষের রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে।
পুলিশের বিরুদ্ধে মাসোহারার অভিযোগের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানান ইলিয়াস কাঞ্চন।
হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) নাবিলা আফরিন দীনা বলেন, মহাসড়ক গুলোতে অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল রোধে পুলিশ কাজ করছে। প্রয়োজনের তুলনায় জনবল অনেক কম। এজন্য মানুষের সচেতনতা দরকার। মানুষ যদি নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিজেই না চায়, তাহলে পুলিশ একা কিছুই করতে পারবে না। তিনি বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে কোন অনিয়ম হলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।