Tnntv24.নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় রেললাইন বটতলা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ও রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছে। বুধবার ( ১১ সেপ্টেম্বর ) বিকেল এই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।
এসময় দুটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী ভাংচুর ও একটি ডাইং ফ্যাক্টরীর ভেতরে প্রবেশ করে কাপড়ের গাইডে আগুন ধরিয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা । ভাংচুর করা হয় দুটি অটোরিক্সা, একটি ট্রাক । একটি গার্মেন্স কারখানার কাপড় রাস্তায় ফেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়,বুধবার বিকেলে ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি উদ্দ্যোগে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য মাদকের বিরুদ্ধে শান্তি মিছিলের আয়োজন করা হয়। ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সামনে এগিয়ে গেলেই প্রতিপক্ষের বিএনপির কর্মীরা হামলা চালায়। ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ অভিযোগ করেন, এলাকায় মিল ফ্যাক্টরীতে আধিপত্য বিস্তার করার জন্য ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরির নির্দেশে তার ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা অস্ত্রসস্ত্র ও লাঠি সোঠা ও লোহার পাইপ নিয়ে মিছিলে অর্তকিত হামলা চালায়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া , ইটপাটকেল নিক্ষেপ । ঘন্টাব্যাপি সংঘষে হোসেন গার্মেন্টর্স কারখানা ভাংচুর এবং হোসেন ডায়িং কারাখানার ভেতরে ঢুকে সন্ত্রাসীরা ডায়িং কারখানার কাপড়রে গাইডে আগুন আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় বিসমিল্লাহ গাার্মেসন্টস কারখানার ফিনিসগুড ১১ কোজি কাপড় গাড়ি থেকে নামিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভাচুর করা হয় রাস্তায় থাকা দুটি অটোরিক্স, বাজারের চার পাচঁটি দোকানপাট এবং একটি সোয়েটার ফ্যাক্টরী।
হোসেন গার্মেন্টস এবং ডায়িং করার মালিক অভিযোগ করেন, গার্মেন্টসের জুট (পরিত্যক্ত কাপড়) ব্যবসা নেয়ার জন্য একটি লিষ্ট দেয় রিয়াম মোহাম্মদ চৌধুরি। আমি বলেছি এলাকার লোকজনের সাখে বসে মিলে মিশে ব্যবসা করেন। সেই তালিকা অনুযায়ী ব্যবসা না দেয়ায় রিয়াদ চৌধুরি ক্যাডার বাহিনী গার্মেন্টেসে হামলা ও ভাংচুর করেছে। আমার ডায়িং ফ্যাক্টরীতে ঢুকে ডায়িং করার জন্য রাখা বিপুল পরিমান ফেব্রীক্সে আগুন দেয়। তিনি বলেন, এসমন ক্ষতি যাতে আর কোন ফ্যাক্টরীতে না হয় হয। সেজন্য তিনি অর্ন্তবর্তীকালিন সরকারের প্রধানসহ সরকারের কাছে নিরাপত্তা চান। তিনি বলেন, আমার মোটা অংকের টাকা ক্ষতি হয়েছে।
ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ অভিযোগ করেন, গত পাচঁ আগষ্টের পর থেকে এই অঞ্চলের গার্মেন্টস কারখানাসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানায় আধিপত্য বিস্তার করার জন্য রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরি নেতৃত্বে তার ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা হুমকি দমকি মহড়া দিয়ে আসছিলো। যে কারনে জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের নির্দেশে ইউনিয়ন বিএনপি শান্তি মিছিল বের করে। সেই মিছিলে আজ হামলা হয়েছে।
তবে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়ার মোহাম্মদ চৌধৃুরি তার নির্দেশে বিএনপির শান্তি মিছিলে হামলা ও ফ্যাক্টরীতে আগুন দেয়ার অভিযোগ অ-স্বীকার করে বলেন, আওয়ামীলীগ নেতা ওলা মাসুদ, আক্তার বিএনপির শান্তি মিছিলে গুলি ও হামলা করেছে। তিনি আরো বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে আগামীতে আমি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী তাই গিয়াস উদ্দিনের লোকজন আমার বিরুদ্ধে হামলা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, গত ১৭ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতি করে জেল জুলম নির্যাতন সহ্য করেছি। গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষনা দেয়া আমর বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা কথা ছড়ানো হচ্ছে।
ফতুল্লা থানার ওসি সোলায়মান মাহমুদ জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মিল কারখানার ব্যবসা বানিজ্য নিজেদরে দখরে নেয়ার জন্য বিএনপির বিবদমান দুই গ্রুপ সংঘষে জড়িয়ে হামলা ভাংচুর ও করেছে। এসময় দুটি কারখানা ভাংচুর ও আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। তবে কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানালেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।