আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,আমরা ব্যর্থও না, জিম্মিও না। দেশটা অনেকের আমলের চেয়ে ভালো চলছে।
টানা দেড় দশক ক্ষমতায় থেকেও বাজার নিয়ন্ত্রণে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ নাকি সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি এমন প্রশ্নে দলটির সাধারণ সম্পাদক এমন মন্তব্য করেন।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুক্রবার(১৫মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে পরিবহণে চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন,
আপনি কি বাংলাদেশকে আলাদা একটি স্বর্গরাজ্য ভাবেন? পরিবহণে চাঁদাবাজি বিশ্বের কোন দেশে আছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আশপাশের দেশগুলোতে আছে।
তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বের যে অবস্থা, আজ শুধু ডলারের দাম না, সারা বিশ্বের যে টালমাটাল অবস্থা, আমি বার বার আপনাদের বলতে চেয়েছি, বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়, যেখানে আমরা আপনাদের খুব সুখেশান্তিতে রাখতে পারব। অন্যেরা ভালো নেই, আমরাও ভালো নেই। সবাই একযোগে ভালো থাকার চেষ্টা আন্তর্জাতিকভাবেও চলছে।
নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে মার্কিন কংগ্রেসম্যানের বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও নিবিড় করার চেষ্টা চলছে। সম্পর্কে কেন প্রভাব পড়বে? আমার দেশের আইন, আমার দেশের বিচার ব্যবস্থায় কোনো ব্যক্তি যদি তার কৃতকর্মের জন্য শাস্তির মুখোমুখি হোন, বিচারের মুখোমুখি হোন, সে অবস্থায় আমার দেশের বিচার ব্যবস্থার যে স্বাধীনতা সে স্বাধীনতার ওপরে বাইরের কারো তো কোনো কিছু বলার অধিকার থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, সংক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সে মামলা চলছে। তাহলে এর মধ্যে বিচার ব্যবস্থা আর বন্ধুত্বের মধ্যে সম্পর্ক কী? এখানে কারো স্বাধীন বিচার ব্যবস্থায় যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে যিনি দোষী সাব্যস্ত হবেন, সেটাকে হয়রানি বলা কি ঠিক হবে?
বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের পরিবর্তন চাইলে আরেকটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। যে পরিবর্তন হয়েছে সেটা গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা এখন আরাম-আয়েশে ছুটি কাটাচ্ছেন। ক্ষমতা সন্নিকটে এমন আশা যে কর্মীদের দিয়েছিল সারা দেশের সে কর্মীরা হতাশ। বিএনপি নেতারা আন্দোলন করবে সে অবস্থা নেই। বিএনপি এখন আন্দোলন করার সক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছে।
দায়িত্বশীল নেতাদের দায়িত্ব নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার কথা জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা দায়িত্বশীল নেতা তাদের উচিত সরকারের জন্য বিব্রতকর এমন কথা বলা থেকে বিরত থাকা। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।