Tnntv24.রূপগঞ্জ সংবাদদাতাঃ
আবারো আলোচনায় রূপগঞ্জের চনপাড়া পূণর্বাসন কেন্দ্র। বজলু, কুট্রি, শমসেরের পর এবার আলোচনায় এসেছে শামীমের নাম। চনপাড়ায় এখন আতঙ্কের নাম শামীম। তার নামে একঘাটে বাঘে-মহিষে পানি খায়। চাঁদাবাজি, দখল, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ সবই এখন তার নিয়ন্ত্রণে। চনপাড়ার বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলানোই শামীমের এখন প্রধান ব্যবসা। ‘টাকা দাও, তালা খোল’ এই মন্ত্রে দেদার চাঁদাবাজি করছে শামীম ও তার বাহিনী। তার ভয়ে এলাকাবাসী তটস্থ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বজলু, কুট্রি ও শমসেরের পর চনপাড়া পূণর্বাসন এখন আব্দুল খালেকের ছেলে শামীম ও হারুন মিয়াজির নিয়ন্ত্রণে। সে চনপাড়ায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। গড়ে তুলেছে অস্ত্রধারী বাহিনী। তার বাড়ি সিসি ক্যামেরা বেষ্টিত। তার বিরুদ্ধে টু-শব্দ করার সাহস কারো নেই। একসময় সে নিহত আনোয়ার মাঝির সহযোগী ছিলো। ছিলো মলম পার্টির সদস্য। মাস দুয়েক আগের বেকার ছেলে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে কোটিপতি বনে গেছে। গত এক মাসে সে যুবদলের নেতা রতন মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের জাকির, সাবেক ছাত্রদল নেতা রুবেল মাহমুদকে বেধড়ক পিটিয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, গত এক মাসে সে চনপাড়ার প্রায় ২৫০ ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। প্রত্যেক ঘর থেকে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তালা ঝুলিয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান-দোকানপাটে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে চনপাড়ার কয়েকজন বলেন, মরণের পরেও আমাগো শান্তি অইবো না। আগে জ¦ালাইলো বজলু, কুট্রি, শমসেরেরে। আর অহন জ¦ালাইতাছে শামীম আর হারুণ মিজি। আমরা কবে শান্তি পামু। সেনাবাহিনী কি এগুলাইন দেহে না। চৌধুরি ট্রেডস গ্রুপের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল চৌধুরি বলেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর চনপাড়া ডিবিকেপি ভবনের চৌধুরি ট্রেডস গ্রুপে হামলা চালায় শামীম ও তার লোকজন। এসময় অফিসের ৬ জন ষ্টাফকে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। তাকে এক লাখ টাকা দেওয়া হয়। এরপর বাকী টাকা না দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চনপাড়া মোড়ের রড দোকানদার দাদন মিয়ার কাছ থেকে ২ লাখ, সিমেন্ট ব্যবসায়ী পারভেজের নিকট থেকে ৫০ হাজার, শাহজাহান স্যানেটারি দোকান থেকে ৫ লাখ, রাণিমা রেস্তোরা থেকে ২ লাখ, জব্বর মিয়া থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী গন্ডা বিল্লাল থেকে ৭ লাখ, ট্রাক দুলাল থেকে ৫ লাখ ৭০ হাজার, কয়লা রনি ৫ লাখ, নিয়াজ ১০ লাখ. গাঁজা মনির ২ লাখ, খাজু মনির ২ লাখ, কাসেমের ছেলে জয়নাল ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বখরা দিয়েছে। সূত্রটি জানায়, গত এক মাসে চনপাড়া পূর্নবাসনে ৫ টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ হত্যাকান্ডের নেপথ্যে রয়েছে শামীম।