নারায়ণগঞ্জ শুক্রবার | ১১ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বসন্তকাল | ১৩ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
  সর্বশেষ
জাকির খাঁন মুক্ত হলে শহরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কি পরিবর্তন হবে,এমন প্রশ্ন অনেকের।Nafiz Ashraf.Tnntv24
জমির ধরণ ও পরিমাণ ভেদে ঘুষ,বিতর্কিত পূর্বাচল রাজস্ব সার্কেলেরএসিল্যান্ডের বদলি।Nafiz Ashraf.Tnntv24
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে।Nafiz Ashraf.Tnntv24
আজ ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সারা দেশে একযোগে শুরু হচ্ছে।Nafiz Ashraf.Tnntv24
এমন নারায়ণগঞ্জ গড়ব সন্তানরা যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে।Nafiz Ashraf.Tnntv24
দীর্ঘ ১৪ বছর পর বিকেএমইএ নির্বাচনের আলো ফোটাতে যাচ্ছে ।Nafiz Ashraf.Tnntv24
রূপগঞ্জের কামসাইর ইমান ভূঁইয়া ক্রিয়েটিভ স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা:Nafiz Ashraf.Tnntv24
রূপগঞ্জ উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি শাহ আলম-সম্পাদক ওবায়দুর রহমান:Nafiz Ashraf.Tnntv24
বিএনপি নির্বাচনি রোডম্যাপ ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।Nafiz Ashraf.Tnntv24
বাংলাদেশের কাছে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার মতো দুর্দান্ত সব আইডিয়া আছে-প্রধান উপদেষ্টা।Nafiz Ashraf.Tnntv24
Next
Prev

৫০০ কোটি টাকার “কালো সোনা” উৎপাদনের টার্গেট ফরিদপুরের পেঁয়াজ চাষিদের। Nafiz Ashraf.Tnntv24

৫০০ কোটি টাকার “কালো সোনা” উৎপাদনের টার্গেট ফরিদপুরের পেঁয়াজ চাষিদের। Nafiz Ashraf.Tnntv24

Facebook
WhatsApp
LinkedIn
৫০০ কোটি টাকার “কালো সোনা” উৎপাদনের টার্গেট ফরিদপুরের পেঁয়াজ চাষিদের। Nafiz Ashraf.Tnntv24

৫০০ কোটি টাকার “কালো সোনা” উৎপাদনের

টার্গেট ফরিদপুরের পেঁয়াজ চাষিদের

Tnntv24.বিশেষ প্রতিনিধি:

ফরিদপুর জেলায় এবছর “কালো সোনা”( পেঁয়াজ বীজ ) ৫০০ কোটি টাকা উৎপাদনের টার্গেট কৃষকদের। পেঁয়াজ বীজ এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে এবারই প্রথম নয় ,প্রায় এক যুগ ধরে পেঁয়াজ বীজের বাম্পার ফলন হয়ে আসছে ফরিদপুরে। দেশের সরকারি পেঁয়াজ বীজের চাহিদার অর্ধেকের বেশি সরবরাহ করেন এ জেলার চাষিরা। এই কৃষিপণ্যটি উৎপাদন করে অর্থনৈতিকভাবে জীবন মানের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন এই অঞ্চলের চাষিগণ। এ জন্যই এই বীজকে ‘কালো সোনা’ বলেন এ অঞ্চলের মানুষ।

পেঁয়াজ উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ জেলা। পাটের পরে ধান ও পেঁয়াজ আবাদে এখানকার চাষিদের আগ্রহ বেশি। জেলার ফরিদপুর সদর, বোয়ালমারী, ভাঙ্গা, মধুখালী, সদরপুর উপজেলার মাঠগুলোতে যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই শুধু, সাদা রঙের পেঁয়াজ ফুলের সমারোহ।

এ মৌসুমে পেঁয়াজের ভালো উৎপাদনের পর ফরিদপুরে বাম্পার ফলন হয়েছে পেঁয়াজ বীজ আবাদেও।

অম্বিকাপুরের কৃষাণি শাহেদা বেগম ও লাভলী জানান, কালো সোনা খ্যাত এই পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে ছোট শিশুর মতো যত্ন করতে হয়। নভেম্বর-ডিসেম্বরে আবাদ শুরু হয়ে ফলন উঠবে এপ্রিল-মেতে। এরপর এক বছর বীজ সংরক্ষণ করে পরবর্তী বছরে করা হয় আবাদ ও বিক্রি। তবে চলতি মৌসুমে মৌমাছি না থাকায় হাত দিয়েই পরাগায়ণ করতে হচ্ছে।

পেঁয়াজের এই মৌসুমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পেঁয়াজ বীজের ক্ষেতে কাজ করতে আসেন শ্রমিকরা। তারা জানান, বীজের ক্ষেতে কাজ করেই চলে তাদের সংসার ও সন্তানদের পড়ালেখা।

এদিকে, মাঠের পর মাঠ বীজের সাদা ফুলের সৌর্ন্দয দেখতে প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা আসছেন মাঠগুলোতে। তুলছেন ছবি, করছেন ভিডিও।

কৃষি বিভাগ জানায়, দেশের চাহিদার অর্ধেক বীজ উৎপাদন হয়ে থাকে এ জেলায়। এ বছর পেঁয়াজ বীজের আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৮শ ৫৪ হেক্টর জমিতে, যা থেকে উৎপাদিত বীজের বাজার মূল্যে প্রায় ৫শ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ফরিদপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গুণগত মান ভালো হওয়ায় ফরিদপুরের বীজের চাহিদা সর্বত্র রয়েছে। এই কৃষিপণ্যটির বাজার মূল্য অধিক হওয়ায় কালোসোনা বলে অভিহিত করেন স্থানীয়রা।

কয়েক বছর হলো পেঁয়াজ বীজের ক্ষেতে মৌমাছির বিচরণ কমে গেছে, এ কারণে পরাগায়ণের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের ফুলের ওপর হাত দিয়ে পরাগায়ণ কীভাবে করতে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহাদুজ্জামান বলেন, এ বছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বীজের আবাদ হয়েছে। দিন দিন পেয়াঁজ বীজ আবাদের চাষির সংখ্যা বাড়ছে।

তিনি জানান, এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় এক হাজার ৮৫৪ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯শ ৬৪ মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্য আনুমানিক প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

এ সম্পর্কিত আরো খবর...

error: Content is protected !!