নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শ্রমিক ফয়সাল আহম্মেদ হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় তিন আসামীকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। সোমবার(২৫ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. আমিনুল হক আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার ঋষিপাড়া এলাকার নিতাই চন্দ্র দাসের ছেলে অপূর্ব চন্দ্র দাস। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নিতাই চন্দ্র দাস ও তার ছেলে তপন চন্দ্র দাস ও অপু চন্দ্র দাসকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন আদালত।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আসামীরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ফয়সালকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনায় ফয়সালের মামা মো. মানিক বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন সুইট জানান, ২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারী রাত ৯টার দিকে ফয়সাল আহমেদ নিখোঁজ। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে সোনারগাঁ থানায় তার মামা মানিক জিডি করেন। ওই জিডির সূত্র ধরে ৩ ফেব্রুয়ারী সোনারগাঁ থানা পুলিশ ও র্যাব-১১ যৌথ অভিযান চালিয়ে অপূর্ব চন্দ্র দাস ও তপু চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তার করে। তারা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে পূবৃ শত্রুতার জের ধরে বাদীর ভাগ্নে ফয়সালকে আসামীরা হাত-পা বেধে শ^াসরোধে হত্যা করে লাশ খালের কচুরীপানায় গুম করে। আসামীদের ওই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারী আসামীদের দেখানো মতে কচুরীপানার ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।