প্রভাবশালীদের উচ্চ কন্ঠস্বরের জবাব দিয়ে দিল বন্দরবাসী। নির্বাচনের আগে যে আস্ফালন দেখিয়েছে তা বন্দরবাসীর মনে দাগকেটেছে বলেই ভোটের মাধ্যমে এমন জবাব । অনেকটা জেদেরবশেই রাজাকার পুত্র মাকসুদ হোসেনকে বেছে নিয়েছেন ভোটাররা। মাকসুদ হোসেন ১৫ হাজার ৩৫ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়ে বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এম এ রশিদ।
বুধবার ৮ মে প্রথম ধাপে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন আওয়ামী লীগের এম এ রশিদ, সাবেক বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল ও জাতীয় পার্টির নেতা মাকসুদ হোসেন। নারায়ণগঞ্জ-৫ সংসদিয় আসনের এমপি এ কে এম সেলিম ওসমান তার নিজ দল জাতীয় পার্টির নেতা মাকসুদের বিরোধীতা করে, প্রকাশ্যে রাজাকার পুত্র বলে ধিক্কার জানিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা এম এ রশিদকে সমর্থন দেন। সেলিম ওসমানের ভাই নারায়ণগঞ্জ-৪ সংসদিয় আসনের এমপি শামীম ওসমানও প্রকাশ্যে এম এ রশিদকে সমর্থন দেন। এই সংসদ সদস্য ভাত্রীদ্বয় আতাউর রহমান মুকুল ও মাকসুদ হোসেনকে প্রত্যক্ষ্য এবং পরোক্ষ ভাবে চাপে রেখেছিল যাতে নির্বাচন থেকে তারা সরে দাঁড়ান। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি।
বিজয়ী মাকসুদ হোসেন আনারস প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৭৩, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম এ রশিদ দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮৩৮, আর আতাউর রহমান মুকুল চিংড়ি প্রতীকে ১২ হাজার ৬২২ ভোট পেয়েছেন।