Tnntv24. নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের হেফাজতে থাকা সৈয়দ নুরুল করিম নামে এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তার স্ত্রীকে দুপুর পর্যন্ত আটক রাখলেও পরে তা অস্বীকার করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক জয়নাল আবেদিন। রোববার ( ৮ সেপ্টেম্বর ) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে গ্রীন লাইন সার্ভিসের একটি ডাবল ডেকার যাত্রীবাহি বাসের নিচতলা অভিযান চালিয়ে মাদক পাচারকারী সন্দেহে তাকে আটক করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক জয়নাল আবেদিনের নেতৃত্বাধীন একটি দল। সে কক্সবাজার জেলার নুরুল কবিরের ছেলে।
মাদক পাচারকারীর সঙ্গে আটক নুরুল মারা গেলে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্মকর্তারা নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে লাশ ফেলে রেখে তারা চলে যায়। খবর পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা ঘটনা গেলে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে কর্মকতা নানা তালবাহানা করে। এই আসছি একটু পর আসছি বলে কালক্ষেপণ করতে থাকে। এভাবে দুপুর দুইটা পর্যন্ত সাংবাদিকদের হাসপাতালের সামনে বসিয়ে রাখে। পরে সাংবাদিকরা ফতুল্লা থানার সস্তাপুর এলাকায় স্টেডিয়ামের পাশে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অফিসে গেলে কথা বলেন পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন।
জানা যায়, বাস থেকে নামিয়ে প্রথমে ওই ব্যক্তির জিজ্ঞাসাবাদে নামে তাকে মারধর করা হলে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে সাইনবোর্ড প্রো-একটিভ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখান থেকে সৈয়দুল করিমকে শহরের নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেয়া হলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক উত্তম কুমার সাহা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই পথে তার মৃত্যু হয়েছে।
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক জয়নাল আবেদিন জানান, মাদক পাচারের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রীন লাইন ডাবল ডেকার যাত্রীবাহি বাসে অভিযান চালিয়ে সৈয়দ নুরুল করিম ও তার স্ত্রীকে আটক করে। এসময় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক জয়নাল আবেদিনের ব্যবহৃত গাড়িতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা ও কক্সবাজার চারটি মামলা রয়েছে।
তবে দুপুর পর্যন্ত সৈয়দ নুরুল করিমের আটক স্ত্রীকে খুঁজে পায়নি গণমাদ্যম কর্মীরা। পরিদর্শক জয়নাল আবেদিনের এ অভিযানের কথা তার উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা জানেন না বলেও জানা যায়।