Tnntv24.নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মিঠাব গ্রামের ২নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি ও ছাত্র দলের নিরীহ নেতা কর্মীর নামে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে মিথ্যা মামলা দায়েরের পর গ্রামটি পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, গত ৩০ জুলাই মঙ্গলবার রাত ৮টার সময় পোস্ট মাষ্টারের বাড়ির পাশে ১৫/১৬ জন বন্ধু এক সাথে আড্ডা দিচ্ছিল। হঠাৎ করে জিসান বন্ধু নাঈম কে চাকু দিয়ে পোঁচ দেয়। তখন সব বন্ধুরা মিলে দুই জনকে কোলাকুলি করে মিটমাট করে দেয়।ঐ দিনই রাত সাড়ে ৮ টার সময় জিসান আবারো নাঈমকে মারার জন্য ছুটে আসে।ঘাতক নাঈম জিসানের চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে পালিয়ে যায়।তৎক্ষনাৎ তাদের মধ্যে বন্ধু, সৈকত অংকন, জহিরুল স্থানীয় মুড়াপাড়া একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সেসময়ের কর্তব্যরত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ইনচার্জ জিসানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। গত ৩১ জুলাই বুধবার মৃত জিসানের পিতা আলমগীর মোল্লা বাদী হয়ে।
রূপগঞ্জ থানার মামলা নম্বর ৪১/৬১১ দাউদপুর ইউনিয়নের কামালের পুত্র ১ নম্বর আসামি নাঈম ও তার পিতা কামাল হোসেন কে ২ নম্বর আসামি করা হয়।পরবর্তীতে গত ০৩/০৯/২৪ইং তারিখ মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ কোর্টে সি আর মামলা P ২৫৭/২০২৪ আগের ২ জনসহ মোট ৩০ জনকে আসামী করা হয়। তার মধ্যে বিএপির প্রবীন নেতাসহ ২০ জনই ছাত্র দলের কর্মী বলে জানা গেছে। রূপগঞ্জ থানায় মামলায় অভিযোগ দায়ের করে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন।এদিকে জিসানের পিতা আলমগীর মোল্লা বিভিন্ন কলকারখানা থেকে চাঁদাবাজি করছে। মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়ার নাম ভাঙ্গিয়ে।
প্রকৃত পক্ষে আলমগীর মোল্লা আওয়ামী লীগের কর্মী বলে জানা গেছে। মৃত জিসানকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র লীগের সন্রাসীরা কুপিয়ে খুন করে তার বক্তব্য দিয়েছেন ১ মাস পর জিসানের পিতা আলমগীর মোল্লা তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। সে তার মৃত ছেলেকে দিয়ে ব্যবসা করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, রূপগঞ্জের বিএনপি ও অংগসংগঠন থেকে ৫ লাখ টাকা, মামলার কথা বলে এমদাদুল হক এমদাদের কাছ থেকে ১ লাখ, ও রূপগঞ্জের ওয়ান ফ্যামিলি ও জাপান বাংলাদেশ চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন।
উল্লেখ্য ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টার সময় ভুলতা দেবগ্রাম সড়কের কুশাব এলাকায় কভার্ডভ্যান ও ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে।পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে চার জনকে আটক করা হয়। আটকরা হলেন,ছাত্র দল নেতা জিসান,মিরাজ,মেহেদী ও সাকিব।ঐদিনই জিসানের হ্যান্ডকাপ পরিহিত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। দীর্ঘ ৫ মাস জেল খেটে গত মার্চ মাসে জেল খানা থেকে বের হয়।পরবর্তী সময়ে ছাত্র লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে পড়ে।মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ছাত্র লীগের কর্মী বলে জানা যায়।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকারি দফতরে নাম লিখার জন্য আলমগীর মোল্লা হৈন্যে হয়ে ঘুরছে।এলাকাবাসীর অভিযোগ মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি ও হয়রানি বন্ধ ও সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছেন।