Tnntv24.নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের সন্ত্রাসের গডফাদার জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে জনগণের বুকে অনেক বড় বড় কথা বলে।
কিন্তু সময় আসলেই পালিয়ে যায়। তাঁকে আর দেখা যায় না।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার কাশীপুরে বিএনপির এক সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে তিনি এসব কথা বলেন।
মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, নারায়ণগঞ্জের গডফাদার পালিয়ে গেছে। ২০০১ সালেও পালিয়ে ছিল। মুখে অনেক বড় বড় কথা বলে। কিন্তু সময় আসলেই পালিয়ে যায়। এ কাপুরুষ যেভাবে অস্ত্র নিয়ে জনগণের বুকে গুলি করেছে তা সব পত্রিকায় মিডিয়ায় রয়েছে ।
‘গডফাদার’ তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আবারও জনগণের উপর হামলা করতে পারে শঙ্কা করে অস্ত্রধারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান এ বিএনপি নেতা।
গিয়াসউদ্দিন বলেন, ‘ফতুল্লার মানুষকে বঞ্চিত হয়েছে করা হয়েছে। এ জায়গা থেকে কোটি কোটি টাকা আয় হয়। বৈষম্যের হাত থেকে ফতুল্লার মানুষকে রক্ষা করতে হলে অবিলম্বে ফতুল্লাকে সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এখন আমাদের এটাই দাবি।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০০১ সালে আমি কাশিপুর ইউনিয়নবাসীর কাছে যে ভালোবাসা পেয়েছি। আপনারা এ এলাকার গডফাদারের বিরুদ্ধে আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করেছিলেন। আমি সবসময় সেজন্য আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।’
চাঁদাবাজি ও মাস্তানি বন্ধে দলীয় নেতা-কর্মীদেরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে গিয়াস বলেন, ‘৫ তারিখ থেকে ৮ তারিখ দেশে কোনো সরকার ছিল না। এ কয়েকদিন কিছু নৈতিকতাহীন লোক লুটপাট, চাঁদাবাজি করেছেন। তারা মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। পুলিশ নৈতিকতা হারানোর কারণে মনোবল হারিয়ে গেছে। তারা রাজধানী থেকে পালিয়েছে, সারাদেশ থেকে পালিয়েছে। স্বৈরাচার চলে গেলেও তাদের দোসররা রয়ে গেছে। তারা চেষ্টা করছে কীভাবে জনজীবন বিপন্ন করে তোলা যায়। আমাদের প্রথম কাজ হল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি ঘটানো। কেউ যেন চাঁদাবাজি, মাস্তানি করতে না পারে। কেউ যেন শিল্প কারখানায় লুটপাট করতে না পারে।’
কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মো. মঈনুল হোসেন রতন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আরিফ মন্ডল সঞ্চালনায় আরোও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি এড. আ. আব্দুল বারী ভূঁইয়া, অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম,মাজেদুল ইসলাম, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, সুলতান মাহমুদ মোল্লা, আলাউদ্দিন খন্দকার সিপন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. কবীর প্রধান, মো. বিল্লাল হোসেন, এড. মাহমুদুল হক আলমগীর,মো. হাসান আলী, হাসান মাহমুদ পলাশ, মো. মন্টু মেম্বার, ফুল্লা থানা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক সৈকত হাসান ইকবাল প্রমুখ।