বিদ্যুৎ অফিস কম্পাউন্ডে ডাকাতি, ট্রান্সফর্মার লুট
নারায়ণগঞ্জ সদর কিল্লারপুর এলাকায় বিদ্যুৎ অফিস (ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কার্যালয়ে) কম্পাউন্ডে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদল বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য নিয়োজিত এ সরকারি কার্যালয়টির নিরাপত্তরক্ষী ও কর্মচারীদের ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দু’টি পুরাতন ট্রান্সফর্মার, একটি টেলিভিশন, বেশ কিছু তামার তার, কর্মচারীদের টাকা ও মোবাইল লুট করে নিয়ে যায়। এমনটাই জানিয়েছেন, ডিপিডিসি’র নারায়ণগঞ্জ পশ্চিম ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান।
রোববার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক সোয়া দুইটার দিকে পূর্বপাশের সীমানা প্রাচীর টপকে ডাকাতদল প্রবেশ করে। তারা প্রায় দেড় ঘন্টা ভেতরে ছিল বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সীমানা প্রাচীর টপকে ঢুকে পড়া ১৫-২০ জনের ডাকাতদলের সকলের চেহারা ঢাকা ছিল। তাদের হাতে দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্র ছিল। অস্ত্রের মুখে নিরাপত্তা রক্ষী ও অন্যান্য স্টাফদের তারা জিম্মি করে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। অফিসে কোথায় টাকা আছে তারা জানতে চায়। অফিসে কোনো টাকা থাকে না জানালে ডাকাতদল স্টাফদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল লুটে নেয়। পরে কার্যালয়ের প্রধান গেট দিয়ে একটি পিকআপ ভ্যান ভেতরে ঢোকায় তারা। ওই পিকআপ ভ্যানে দু’টি পুরাতন ২৫ কেভিএ’র ট্রান্সফর্মার ও বেশকিছু কপারের তার নিয়ে যায়। কন্ট্রোল রুমে থাকা একটি টেলিভিশনও নিয়ে যায় তারা।’
‘লুট হওয়া জিনিসপত্রের মূল্য খুব একটা বেশি না। ডাকাতদলের সদস্যরা কার্যালয়ের অফিস কক্ষগুলোতে ঢুকলেও সেখানে থাকা কম্পিউটার, প্রিন্টারের মতো মূল্যবান বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি তারা লুট করেনি। এ বিষয়টি আশ্চর্যজনক’, বলেন এ প্রকৌশলী।
তবে, এই ঘটনায় ডাকাতির অভিযোগে সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ডিপিডিসি’র পূর্ব ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ।
ঘটনার পর সোমবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার।
জানতে চাইলে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, ‘এই ঘটনায় ডাকাতির মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করেছি। ঘটনাটি নিয়ে কিছু প্রশ্নও সামনে এসেছে। সবদিক মাথায় রেখে তদন্ত চলছে।’