চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রী
কাঁড়ি কাঁড়ি টাকায় জামাইকে ছাড়িয়ে নেবে
Tnntv24.নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না শারমীন ফেসবুক ভিডিওতে বলেছেন কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে জামাইকে ছাড়িয়ে নেবে। সাজ্জাকে যারা পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়েছে,তাদেরকেও দেখে নেবে। ছাড় দেয়া হবে না।
পুলিশের তালিকায় চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ছবি:সংগৃহিত
সাজ্জাদকে গ্রেফতারের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তার স্ত্রী তামান্না শারমিনের বক্তব্যের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে তামান্না শারমিনকে বলতে শোনা যায়, আমরা কাঁড়ি কাঁড়ি, বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে নিয়ে আসব। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
১৭ মামলার আসামি সাজ্জাদ হোসেন ।তাকে ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে জামিনে ছাড়িয়ে নেবেন বলে ভিডিওতে জানান স্ত্রী তামান্না শারমিন।
শারমিন বলেন, আমার জামাই গ্রেফতার হয়েছে, এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। মামলা যখন আছে, গ্রেফতার হবেই। আপনারা যারা ভাবছেন, আর কোনোদিন বের হবে না, তাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা।
প্রতিপক্ষকে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, এত দিন আমরা পলাতক ছিলাম, এখন তোমাদের পলাতক থাকার পালা শুরু। খেলা শুরু হবে এখন।
শনিবার রাত ১০টার দিকে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি তাকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। ঠিক তার আগের দিন নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমানকে ফেসবুক লাইভে এসে হুমকি দেন সাজ্জাদ হোসেন।
পুলিশ জানায়, ফেসবুকে লাইভে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসিকে বিবস্ত্র করে পেটানোর হুমকি দেন সাজ্জাদ। লাইভে সাজ্জাদ আরও বলেন, ওসি আরিফ দেশের যে প্রান্তেই থাকেন না কেন, তাকে নগরের অক্সিজেনে ধরে এনে পেটানো হবে। প্রয়োজনে মরে যাব, কিন্তু হার মানব না।
এ ছাড়া পুলিশ কমিশনারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ওসি আরিফ চাঁদাবাজিসহ আমার সন্তান হত্যায় জড়িত, তাকে যাতে বদলি করা হয়। পরে এ ঘটনায় ওসি আরিফুর রহমান থানায় জিডি করেন। পরে তার অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য পুলিশকে দিতে পারলে তথ্যদাতাকে উপযুক্ত অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেন নগর পুলিশের কমিশনার।
গত বছরের ১৭ জুলাই চান্দগাঁও থানা-পুলিশ অস্ত্রসহ সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে। পরের মাসে জামিনে বের হন তিনি। সাজ্জাদ বায়েজিদ বোস্তামী থানাসংলগ্ন হাটহাজারীর শিকারপুরের মো. জামালের ছেলে। গত ৪ ডিসেম্বর নগরের অক্সিজেন এলাকায় পুলিশ ধরতে গেলে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যান তিনি। এতে পুলিশসহ পাঁচজন আহত হন।