গাজায় জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করল সাংবাদিককে,
দুই শতাধিক সংবাদ কর্মী নিহত
Tnntv24.অনলাইন ডেক্স:
গাজার সাংবাদিককে পুরো বিশ্বের সামনে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হলো, কী নৃশংস (?) গেলো দেড় বছরের আগ্রাসনে গাজায় দুই শতাধিক সংবাদকর্মীকে হত্যা করেছে ইসরাইল।
আরো একবার ইসরাইলের নৃশংসতার শিকার সংবাদকর্মীরা। রোববার (৬ এপ্রিল) খান ইউনুসে সাংবাদিকদের তাবু লক্ষ্য করে চালানো হয় বরবর হামলা। আলোচিত সাংবাদিক হিলমি আল ফাকওয়ার সহ মারা যান দুজন, দগ্ধ ও আহত আরো সাতজন সাংবাদিক।
গাজার দক্ষিণে খান ইউনুসের নাসের হাসপাতালের বাইরে ছিল তাবুটি। শহরটিতে কাজ করা সাংবাদিকরা এখানে অবস্থান নিয়েই চালিয়ে যাচ্ছিলেন পেশাগত দায়িত্ব। জানা ছিল ইসরাইলের, এরপরও হামলা — উদ্দেশ্য প্রণোদিত ছাড়া কি বলা যায়? ততক্ষণে উপত্যকা জুড়ে ইসরাইলের হামলায় দিনের প্রাণহানি ৩০ জন ছাড়িয়ে গেছে।
নিহত সাংবাদিক হিলমি আল ফাকওয়ার
ফিলিস্তিনিদের মৃত্যু আর ছোটাছুটির খবর সংগ্রহে ব্যস্ত অনেক সাংবাদিক। কয়েকজন আবার তাবুতে ফিরে সারাদিনের তথ্য গোছানোর কাজে ব্যস্ত। এমন সময় বোমা হামলা, বিস্ফোরণ, অগ্নিকাণ্ড। ভেতরে আগুনে পুড়ছে, কেউ কেউ বাঁচাতে ছুটছে সহকর্মীদের। নারকীয় এক পরিস্থিতি যা এখন গাজার প্রতিদিনের দৃশ্য। আগুনে পুড়ে নির্মম মৃত্যু হয় আলোচিত সাংবাদিক হিলমি আল ফাকওয়ার। কাছাকাছি থাকায় প্রাণ যায় ইউসেফ আল খাজিদার নামে আরেক তরুণের। আগুনে পুড়তে থাকা সাংবাদিক আহমেদ মনসুরকে কোন ক্রমে উদ্ধার করা গেলেও ততক্ষণে ঝলসে গেছে পুরো শরীর। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও ওষুধ সরঞ্জামের তীব্র সংকট কঠিন করে তুলেছে সে লড়াই। শার্পনেলের আঘাতে সংকটাপন্ন আরেক সাংবাদিক ইহাব আল বার্দিনের জীবন। দগ্ধ ও আহতদের তালিকায় আরো আছেন আল জাজিরার ফটো সাংবাদিক মাহমুদ আওয়াদ সহ আলোচিত আরো কয়েকজন। এক বিবৃতিতে এই হামলাকে ঘৃণ, অপরাধ ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত আখ্যা দিয়েছে প্যালেস্টিনিয়ান জার্নালিস্টস ফোরাম। দেড় বছরের আগ্রাসনে গাজায় দুই শতাধিক সংবাদকর্মীকে হত্যা করেছে ইসরাইল।