সিদ্ধিরগঞ্জে ট্রিপল মার্ডার: দুই নারী,
এক শিশুর খন্ডিত লাশ উদ্ধার-স্বামী আটক
Tnntv24.নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনা ঘটেছে। বস্তাবন্দি অবস্থায় দুই নারী ও এক শিশুর খন্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহত লামিয়ার স্বামী ইয়াসিনকে আটক করেছে। পুলিশের ধারণা পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার ( ১১ এপ্রিল ) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকার মরহুম আক্তার হোসনের বাড়ির পাশ থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় খন্ডিত লাশ তিনটি উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলো স্বপ্না (৩৫), লামিয়া (২০) এবং তার শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ লাবীব (৪)। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহত লামিয়ার স্বামী ইয়াসিনকে (৪০) কে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, পুকুর পাড়ে লাশগুলো মাটিতে চাপা দেয়া ছিলো। বেলা সাড়ে ১১ টায় দূর্গন্ধ পেয়ে তাদের নজরে আসলে তাৎক্ষনিক পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বড় বাড়ির পাশের একটি আঙ্গিনায় ইটের কংক্রিটে চাপাদেয়া বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। এ সময় স্বপ্না ও লামিয়ার মাথা এবং পা বিচ্ছন্ন অবস্থায় দেখা যায়। আরেকটি বস্তায় শিশু লাবিবের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার সকাল থেকেই নিহত লামিয়ার স্বামী ইয়াসিনকে ঘটনাস্থলের আশেপাশে ঘুরতে দেখা যায়। লাশ উদ্ধারের সময়ও সে ঘটনাস্থলে ছিলো।
নিহতের বোন মুনমুন লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিচয় শনাক্ত করেন। তখন এলাকাবাসী সন্দেহজনক ভাবে ইয়াসিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। মুনমুন জানান, লামিয়ার স্বামী ইয়াসিন ঈদের তিন দিন আগে কারাগার থেকে ছাড়া পায়। ইয়াসিন মাদকাসক্ত এবং মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। তার দুই বোন এবং ভাগিনাকে ইয়াসিনই হত্যা করেছে বলে দাবি মুনমুনের। প্রায় সময়ই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতো। নিহত লামিয়া একজন পোশাক শ্রমিক ছিলেন। নিহত আরেক বোন স্বপ্না মানসিক প্রতিবন্ধি ছিলেন।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) তারেক আল মেহেদী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। দু’জন নারী ও একজন শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে দুজন নারীর দেহ খন্ডিত অবস্থায় পাওয়া যায়। এবং শিশুটিকে অখন্ডিত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনায় সাথে জড়িত সন্দেহে নিহত লামিয়ার স্বামী ইয়াসিনকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত ইয়াসিনকে জিজ্ঞেসাবাদ করছে বলে জানায় পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।