ঢাকা কুড়িল কাঞ্চন ৩00 ফিট সড়কে টং দোকানে
চোরাই তেলের রমরমা বাণিজ্য
Tnntv24.স্টাফ রিপোর্টার রূপগঞ্জঃ
রূপগঞ্জের কাঞ্চন কুড়িল ৩০০ ফিট সড়কের টংয়ের দোকানে চোরাই তেলের রমরমা বানিজ্য। রাজনৈতিক দলের নেতা, হাইওয়ে পুলিশ, ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই
কাঞ্চন ব্রীজের পশ্চিম পাড় থেকে পূবাচল উপ- শহরের ৩০০ ফিট এলাকায় নীলা মার্কেট ও গাজীপুর – চট্র্গ্রাম এশিয়ান হাইওয়ে বাইপাস পর্যন্ত প্রায় ৩০ টি টংয়ের দোকানে চোরাই তেলের রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে, ৩০ টি দোকানে ব্যবসা করলেও অনেক ব্যবসায়ীর নাম জানা যায়নি। তবে ডিবি পরিচয়ে আনোয়ার ও তার শ্যালক কামরুল , মিলে ডজন খানেক দোকানে চোরাই তেলের ব্যবসা চালিয়ে আসছে বলে অনেকের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল হাট থেকে
এশিয়ান হাইওয়ের জিন্দাপার্ক ও কাঞ্চন সেতু থেকে ৩০০ ফুট এলাকার নীলা মার্কেট পর্যন্ত
ফুটপাতে জমে উঠা প্রায় ৩০ টি দোকানে চলে চোরাই তেলের রমরমা ব্যবসা।
এসকল খবর নিয়ে পাওয়া অজানা অনেক তথ্য। কেঁচো খুঁজতে গিয়ে সাপ বেরিয়ে আসে। জানা যায়, এ সকল হাইওয়ের পাশে গড়ে উঠা টংয়ের দোকানগুলোতে তেল ব্যবসার অন্তরালে চলে নানা ধরনের অবৈধ ব্যবসা। যেমন, ইট ভাটার চোরাই ইট, ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন, সোয়াবিন তেল ও যুব সমাজের মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসা।
দোকানগুলোতে গিয়ে যে সকল ব্যবসায়ীদের দেখা মিলে তারা হলেন, এশিয়ান হাইওয়ে ফ্লাইওভারের উত্তর, দক্ষিণ ও পুর্ব পাশে আনোয়ার ও কামালের কয়েকটি চোরাই তেলের দোকান। রয়েছে মাসুমের তেলের দোকান। এছাড়াও নলপাথর এলাকার এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের পাশে সামছুল ইসলামের তেলের দোকান, কাঞ্চন ব্রীজের সামনে ব্রাক্ষনখালী এলাকার সিরাজের ছেলে গোলাপ দোকান, সুইরাব এলাকার রাকিবের দোকান, একই এলাকার সোলমানের দোকান, এছাড়াও দোকান আছে আনোয়ার, মস্তল এলাকার লিটন, কুদুর মার্কেট এলাকার ইয়াছিন, সাব্বির হোসেন, ইসমাইল, লেংটার মাজার এলাকার কাশেম, সোহেল, কাঞ্চন ব্রীজ সংলগ্ন ফরহাদ ছাড়াও বাকি পনেরটা দোকান বন্ধ পাওয়া যায়।
এলাকাবাসী জানান, চোরাই তেল ব্যবসায়ীরা দিনের বেলা দোকান বন্ধ রাখলেও সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত খোলা রাখে। এদের ব্যবসাই চলে রাতে। খবর নিয়ে জানা যায় কাঞ্চন ব্রীজের পশ্চিম পাড় থেকে নীলা মার্কেট পর্যন্ত প্রায় ১০ টি তেলের টংয়ের দোকানের ও জিন্দাপার্ক পর্যন্ত ১০টি ও গোলাকান্দাইল থেকে কাঞ্চন ব্রীজ পর্যন্ত ১০ টি। তবে এর মধ্যে ২০টি দোকানের পুলিশের দায়িত্ব নিয়েছে কুদুর মার্কেটের তেল ব্যবসায়ী ইয়াছিন। এ ছাড়াও ইয়াছিন চোরাই তেলের ডিলার বলে জানান এসকল তেল ব্যবসায়ীরা। তারা আরো জানান, ডিলার ইয়াছিন থানা পুলিশের দায়িত্ব নিয়েছে। মস্তল এলাকার চোরাই তেল ব্যবসায়ী লিটন মিয়া জানান, ইয়াছিন মাস শেষে প্রত্যেক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিয়ে পুলিশ কে বুঝিয়ে দেয়। এজন্যই আমাদের পুলিশ কোন সমস্যা করেনা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক ব্যক্তি বলেন এখানে টংয়ের দোকানের মধ্যে ক্রয় করে থাকে চোরাই ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন, সোয়াবিন তেল, ইট ভাটার চোরাই ইট। তবে শুনেছি এসকল ব্যবসার অন্তরালে ইয়াবাসহ সকল ধরনের মাদক বিক্রি করে থাকে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি লিয়াকত আলী বলেন, আমি নতুন এসেছি। থানার কথা বলে যদি কেউ অপকর্ম করে তাহলে আমি তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। সন্ত্রাস, মাদকের বিরুদ্ধে আমার কোন আপোষ নেই।