ওমর আলী (৬৫) রূপগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্বপুর এলাকার মৃত ফৈজদ্দিনের ছেলে।স্থানীয়রা জানান, ওমর আলীর আরেক ছেলে রফিকুল ইসলাম একই এলাকার লিপি আক্তার নামের এক নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে রফিকুল ইসলাম ও লিপি আক্তার মিলে নানাভাবে অত্যাচার ও ভয়ভীতি দেখাতো ওমর আলীকে। ফলে ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন ওমর আলী। গত ৬ মাস আগে ছেলে রফিকুল ইসলাম মারা যায়। এরপর লিপি আক্তারের কোনো জমি না থাকায় ওমর আলী বাড়িতে একটি ছাপরা ঘরে এক মাসের জন্য লিপি আক্তারকে থাকতে দেন। এক মাস পর লিপি আক্তারকে ঘর ছাড়তে বলে ওমর আলী।
তারা আরও জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর লিপি আক্তারসহ তার বাবার বাড়ির লোকজন মিলে ওমরের আরেক ছেলে শফিকুল ইসলামকে বেধরক মারধর করে। এ নিয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে শফিকুল ইসলাম। সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা নিয়ে কয়েক মাস ধরেই লিপি আক্তারের সঙ্গে ওমর আলী ও শফিকুল ইসলামের বিরোধ চলে আসছিলো।
ইছাপুড়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (উপপরিদর্শক) আমিরুল সিকদার বলেন, শনিবার রাতে তারাবো পৌরসভার নোয়াপাড়া এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে স্হানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার গলার সঙ্গে একটি পানি রাখার কলসি বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পর গুমের জন্য মরদেহটির গলায় কলসি বেঁধে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে যায়। পরে ছেলে শফিকুল ইসলাম তার বাবা ওমর আলীর মরদেহ শনাক্ত করেন।
নিহতের ছেলে শফিকুল ইসলাম দাবি করে বলেন, সম্পত্তিকে কেন্দ্র করেই আমার বাবা ওমর আলীকে হত্যা করে। তারপর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ কলসির সঙ্গে বেঁধে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়।
রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান,নৌ-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।