নারায়ণগঞ্জ মঙ্গলবার | ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ গ্রীষ্মকাল | ২২শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
  সর্বশেষ
রূপগঞ্জে  ৫ শতাধিক  মানুষের মাঝে বিনামূল্যে চক্ষু সেবা প্রদান : Nafiz Ashraf.Tnntv24
আই ই টি স্কুলের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দাবা টুর্নামেন্ট। Nafiz Ashraf.Tnntv24
সালমান এফ রহমানের দখলের রূপগঞ্জের সরকারি রাস্তা উদ্ধার করলেন গ্রামবাসী ।Nafiz Ashraf.Tnntv24
চার নেতা হত্যার প্রতিবাদে রূপগঞ্জে উপজেলা ছাত্রদলের প্রতিবাদ,বিক্ষোভ ,অবরোধ:Nafiz Ashraf.Tnntv24
তরুণ সাংবাদিক জিসানের মুক্তির দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানব বন্ধন।Nafiz Ashraf.Tnntv24
বিএনপির বহিস্কৃত নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরি দুই দিনেরে রিমান্ডে ।Nafiz Ashraf.Tnntv24
২০ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক বিনা খরচে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ পাবেন।Nafiz Ashraf.Tnntv24
ভালো রেজাল্টের চেয়ে শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হিসেবে তৈরি করা জরুরি-গিয়াসউদ্দিন।Nafiz Ashraf.Tnntv24
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল ইশরাক সমর্থকরা। Nafiz Ashraf.Tnntv24
ব্যাপক দুর্নীতি ও আগুনের ঘটনায় শামীম,সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে না’গঞ্জ ক্লাবের মামলা।Nafiz Ashraf.Tnntv24
Next
Prev

লাঙ্গলবন্দ পূণ্যস্নান উৎসব ঘিরে সনাতন হিন্দু সমাপ্রদায়ের নেতৃত্ব নিয়ে মতবিরোধ।Nafiz Ashraf.Tnntv24

লাঙ্গলবন্দ পূণ্যস্নান উৎসব ঘিরে সনাতন হিন্দু সমাপ্রদায়ের নেতৃত্ব নিয়ে মতবিরোধ।Nafiz Ashraf.Tnntv24

Facebook
WhatsApp
LinkedIn
লাঙ্গলবন্দ পূণ্যস্নান উৎসব ঘিরে সনাতন হিন্দু সমাপ্রদায়ের নেতৃত্ব নিয়ে মতবিরোধ।Nafiz Ashraf.Tnntv24

লাঙ্গলবন্দ পূণ্যস্নান উৎসব ঘিরে সনাতন হিন্দু

সমাপ্রদায়ের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে মতবিরোধ

Tnntv24.নিজস্ব প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জে লাঙ্গলবন্দ পূণ্যস্নান উৎসব ঘিরে সনাতন হিন্দু সমাপ্রদায়ের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে মতবিরোধ এবং অনৈক্য দেখা দিয়েছে। তাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য, উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। জেলা প্রশাসন সভাক্ষে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ পূণ্যস্নানের প্রস্তুতিমূলক সভায় এমন ঘটনা ঘটে। সভা শেষে বাইরে গিয়েও দুই গ্রুপের মধ্যে হাতা-হাতি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা দেখা যায়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ক্ষোভ প্রকাশ করে। বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়েছিল।

জেলা প্রশাসন সভাক্ষে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ পূণ্যস্নানের প্রস্তুতিমূলক সভা

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে এ সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, সিভিল সার্জন ডা. এএফএম মুশিউর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা বিনা, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সচিব নূর এ কুতুবুল আলম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক অপর্ণা রায়, সদস্য সচিব জয় কে রায় চৌধুরী, মহাতীর্থ লাঙ্গবন্দ স্নাস উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি সরোজ কুমার সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, গণসংহতি আন্দোলনের মহানগর কমিটির নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রানী সরকার, ভবানী শংকর রায়, পরিতোষ সাহা প্রমুখ।

সভায় সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আলমগীর হুসাইন।

সভায় লাঙ্গবন্দ স্নানোৎসব নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে করার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা ঞয়। এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার দাবি জানান। এছাড়া, নারীদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষ সুরক্ষিত রাখা, নদীপথে চাঁদাবাজি বন্ধ, রাস্তার দুইপাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, কচুরিপানা পরিস্কার, নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষনিক ব্যবস্থা, পয়নিঃস্কাশনের সুব্যবস্থা রাখার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক।

এছাড়া, স্নানোৎসবকে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন থাকবে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার। একইসাথে আনসার ও স্বেচ্ছাসেবীরাও কাজ করবেন। নদীপথে নিয়মিত টহল থাকবে নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দল। যেকোনো দুর্ঘটনায় দ্রুত সাড়া দিতে ডুবুরি দলও প্রস্তুত রাখার কথা জানান বিআইডব্লিউটিএ ও ফায়ার সার্ভিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এদিকে, আলোচনার এক পর্যায়ে স্নানোৎসব উদযাপন কমিটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। দু’টি পক্ষ পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেন। এ নিয়ে সম্মেলন কক্ষে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে আলোচনা সংক্ষিপ্ত করে সভা শেষ করেন জেলা প্রশাসক।

সম্মেলন কক্ষের এই উত্তেজনা বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। সভা শেষ হলেও একই বিতর্কে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বারান্দা, ভবনের নিচে এবং প্রধান ফটকের সামনের রাস্তায়ও কয়েক দফায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

কমিটি নিয়ে উত্তেজনার প্রসঙ্গে সভায় কথা বলেন জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারও। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও বিশৃঙ্খলায় বিরক্তি প্রকাশও করেন তারা।
জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আমরা প্রোগ্রাম করতে গিয়ে যদি স্বার্থগত দ্বন্দ্বের জেরে এগুলো করতে থাকি, এতে মানুষের ভালো ম্যাসেজ যায় না। ধর্মের সুবাতাস ও সৌরভ ছড়াতে হবে। বিভিন্ন প্রস্তাব ও সমস্যার কথা এসেছে, এগুলো আমরা সমাধানের চেষ্টা করবো। সবগুলো ডিপার্টমেন্ট, আনসার বাহিনী, সেনাবাহিনীও এটার সমাধানে থাকবে। পাশাপাশি আপনাদের উদার মন নিয়ে অংশগ্রহণ করতে হবে।

তিনি আরও বলেস, উৎসব একা করা যায় না। সবাইকে নিয়ে করতে হয়। আমরা সবাইকে নিয়ে করতে চাই। একটি বিষয় এসেছে উপদেষ্টা কমিটি গঠনের। আমরা আপনাদের মধ্যে থেকেই একটি কমিটি গঠন করে দিবো, যাতে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি না হয়। প্রশাসনের সবাই আপনাদের পাশে থাকবে। এটি কোনো ব্যক্তি, কোনো গোষ্ঠীর প্রোগ্রাম নয়। সারাদেশ, বিদেশের মানুষ আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে। সুতরাং আমাদের জেলার ভাবমূর্তি নষ্ট করে এমন কাউকে প্রশ্রয় দিবো না। কোনো ধরনের গাফিলতি যাতে না হয় সবাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকবো।

বিরক্তি প্রকাশ করে জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, কারো যদি পেশি শক্তি বেশি থাকে, তাহলে বাইরে মাঠ আছে, বাইরে গিয়ে মারামারি করেন। পরে আমার পুলিশ আসবে, মামলা নিবে, কোনো সমস্যা নেই। আপনারা একটি স্নানই যদি মিলেমিশে না করতে পারেন, এখানেই রক্ত-গঙ্গা বহান, তাহলে স্নানের কি দরকার আছে? পাপ-মোচনের কি দরকার? আমি একজন এসপি হিসেবে আপনাদের আচরণ দেখে খুবই মর্মাহত।

এটি পেশিশক্তি দেখানোর জায়গা না’ উল্লেখ করে এসপি আরও বলেন, কে ফ্যাসিস্ট, কে কী করছে তার বিষয়ে মামলা হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা দেখবো। কে কী করেছে সে বিষয়ে সরকার দেখবে। এখানে জেলা প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের লোক বসে আছে, এখানে পেশি শক্তি দেখানোর জায়গা না। পুন্যস্নানে কারো জন্য কোনো ব্যত্যয় ঘটলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

আগামী ৪ ও ৫ এপ্রিল বন্দর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ২০টি ঘাটে মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসব চলবে। এ স্নানোৎসবে দেশ ও বিদেশের লাখো পুণ্যার্থী প্রতি বছর অংশ নেন।

এ সম্পর্কিত আরো খবর...

error: Content is protected !!