নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ার মিশনপাড়া এলাকায় রামকৃষ্ণ মিশনে সাত বছর বয়সী শিশু সুচন্দাকে দেবী রূপে কুমারী পুজা দিয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বি লোকেরা। সেখানে ব্যাপক আনন্দমুখর পরিবেশে কুমারী পুজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রদ্বীপ জ্বেলে শংখ বাজিয়ে উলুধ্বণি দিয়ে সাত বছর বয়সী শিশুকে দেবীর আসনে বসিয়ে তারচরণে প্রণাম করে পুজো করা হয়। কুমারী পুজায় সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজার হাজার পূণ্যার্থী অংশগ্রহণ করেন। পূণ্যার্থীরা করজোরে দেবীর কাছে শান্তি কামনা করে মন্ত্র পাঠ করেন।
নারায়ণগঞ্জে আনন্দমুখর পরিবেশে কুমারী পুজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরীর চাষাঢ়ার মিশনপাড়ায় রাম কৃষ্ণ মিশন আশ্রমে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০ থেকে শুরু হওয়া এ কুমারী পূজায় সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজার হাজার পূণ্যার্থী অংশগ্রহণ করেন। প্রদ্বীপ জ্বেলে শংখ বাজিয়ে উলুধ্বনি দিয়ে সাত বছর বয়সী একটি শিশুকে দেবীর আসনে বসিয়ে তারচরণে প্রণাম করে পুজো করা হয়। পূণ্যার্থীরা করজোরে দেবীর কাছে শান্তি কামনা করে মন্ত্র পাঠ করেন। এবার কুমারী দেবীরূপে মন্ডপে অধিষ্ঠিত হয় নগরীর বংশাল রোড এলাকার নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুলের শিশু শ্রেনীর ছাত্রী সুনন্দা চক্রবর্তী। তার বাবা সঞ্জয় চক্রবর্তী পেশায় চাকরীজীবী। মা দিপান্বিতা চক্রবর্তী গৃহিণী।
শাস্ত্র মতে, প্রতিটি মেয়ের মাঝে মা বিরাজমান। সেটা জেনে কুমারী পুজা করা হয়। অতিতে এটার অনেক প্রচলন ছিলো। বর্তমানে অনেক কম পালন করা হয়। বাচ্চাদের মাঝখান থেকেই ভগমানের আবির্ভূত হয়। তাই শিশুদের মন নিস্পাপ বলে তাদের পুজা করা হয়। দর্শনার্থীরা জানান পূজায় এসে নিজের পাশাপাশি দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল প্রার্থনা করেন মা’য়ের কাছে।
কুমারীর মাধ্যমে শ্রদ্ধা বিরাজমান। ১৯০১ সালে রামকৃষ্ণ পরামর্শ দেব একজন কুমারী মাতৃরূপে সাজিয়ে পুজা করেন। সেই থেকেই আমারা কুমারী পুজা করি। আমলাপাড়া পুজা মন্ডপের সভাপতি প্রবীর কুমার সাহা বলেন, খুবই ভাল আইনশৃংখলা থাকায় শান্তিপূর্ণ ভাবে পুজা করতে পারায় সরকারকে ধন্যবাদ।
১৯০১ সাল স্বামীজী বিবেকানন্দ দূর্গাপুজার মাধ্যমে ৯ জন কিশোরীকে কুমারী রূপে পুজা করেছিলেন। পুজা চালু করার পর থেকে এ পূজার প্রচলন রয়েছে বলে জানান নাগমশাই আশ্রমের সভাপতি তারাপদ আচার্য্য।
সবাই ভাল থাকার জন্য হৃদয়ে ধর্ম সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্যই আমাদের পুজাসহ সব ধরনের উৎসব পালন করলেই নতুন প্রজন্মরা শিখতে পারবে বলে জানান ফান্স থেকে আগত এক নাগরিক ফিলিপ রোমে।
এ বছর নারায়ণগঞ্জ জেলায় ২১৪ টি মন্ডপে সারদীয় দূর্গা পুজা পালিত হচ্ছে। সকলে নির্বিঘ্নে আনন্দ উৎসবে দূর্গা পুজা পালন করতে সার্বিক ভাবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।