Tnntv24.নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের মেধাবী কিশোর তানভীর মাহমুদ ত্বকী হত্যায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে গ্রেফতারের মধ্যদিয়ে দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর পর মামলাটি সচল হলো। গ্রেফতারকৃত দুই জনকে ৬ দিনের এবং এক জনকে ৫ দিনের রিমান্ডে দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর ) রাত সাড়ে ৯ টায় র্যাব-১১ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যাব-১১ অধিনায়ক লে.কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান,গত রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া থেকে মামুন মিয়া , কালীরবাজার থেকে সাফায়েত হোসেন শিপন গ্রেফতারের পর সোমবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডী এলাকা থেকে কাজল হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত কাজল হাওলাদার সাবেক সংসদ সদস্য সন্ত্রাসের গড ফাদার খ্যাত শামীম ওসমানের শীর্ষ ক্যাডার শাহ্ নিজামের ভাই।
র্যাব জানায়,গ্রেফতারকৃত তিনজন ত্বকী হত্যাকান্ডে জড়িত ছিল। তবে এর আগে তারা গ্রেফতার হয়নি। তদন্তের সার্থে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল রশিদ জানান,মামুন ও শিপনকে সোমবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শামসুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপরদিকে মঙ্গলবার আসামী কাজল হাওলাদারকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট হায়দার আলীর আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ত্বকী হত্যা মামলায় ইউসুফ হোসেন লিটন, সুলতান শওকত ভ্রমর, রিফাত, তায়েব উদ্দিন জ্যাকি ও সালেহ রহমান সীমান্ত নামে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল র্যাব। তাদের মধ্যে লিটন ও ভ্রমর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্দী দেয়। পরবর্তীতে জামিনে বের হয়ে পাঁচ জনই এখন পলাতক।
২০১৩ সালে ৬ মার্চ বিকেলে নগরীর শায়েস্তা খাঁন সড়কের বাসা থেকে বের হয় বঙ্গবন্ধু সড়কে সুধীজন পাঠাগারের উদ্দেশ্যে। তারপরই ত্বকী নিখোঁজ হয়। পরদিন ত্বকীর “এ” লেভেলের রেজাল্ট বের হয়। রেজাল্টে দেখা যায়, পদার্থ বিজ্ঞানে ৩০০ নম্বরের মধ্যে ত্বকী পেয়েছে ২৯৭ নম্বর। যা বিশ্বে সর্বোচ্চ নম্বর। আর নিখোঁজের দুই দিন পর ৮ মার্চ ত্বকীর মরদেহ শীতলক্ষ্যার কুমুদিনী খালে পাওয়া যায়।
২০১৩ সালের ২৯ জুলাই র্যাবের হাতে গ্রেফতার লিটন ১৬৪ ধারায় জবান বন্দীতে স্বীকার করে ত্বকী হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত। আর অপর আসামী সুলতান শওকত ভ্রমর তার জবান বন্দীতে বলে, ত্বকী হত্যার নেতৃত্ব দেয় শামীম ওসমানের ভাতিজা ( নাসিম ওসমানের ছেলে ) আজমেরী ওসমান। তার নির্দেশেই ত্বকীকে হত্যা করা হয়। #