পুলিশ কি এমপি সেলিম ওসমানের সম্মান রক্ষা করতে পারলেন?
এমন প্রশ্ন এখন জনমনের মুখে মুখে।
না পারেনি। পুলিশ ৪৫ লাখ টাকা খেয়েছে এমপি সেলিম ওসমানের নিকট থেকে। সেই টাকা সেলিম ওসমানের নিজের এবং দু’টি ব্যবসায়ী সংগঠন থেকে দেয়া। এমপি সেলিম ওসমান পুলিশকে টাকা না দিয়েও সরকারি এই কর্মচারিদের শুধু নির্দেশ দিয়ে কাজ করাতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেটি করেননি। উদারতা দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। কারণ পুলিশ যাতে ওই হকার এবং যানবাহন থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে টাকা না আদায় করে। ঘুষ না খায়।
পুলিশের সাথে সেলিম ওসমানের শর্ত বা চুক্তি হয়েছিল,নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক, কালীবাজার সিরাজদ্দৌল্লা সড়ক,পুরাতন কোর্ট শায়েস্তা খাঁন সড়ক এবং চেম্বার রোডে কোন প্রকার হকার বসতে পারবে না। আর নগরীতে প্রবেশ করতে পারবেনা ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক,মিশুক ও রিক্সা। শর্ত বা চুক্তি অনুযায়ী পুলিশ সে কাজ গুলো কয়েকদিন করেছিল বটে। কিন্তু এখন আবার সেই আগের মতোই হকাররা বঙ্গবন্ধু সড়কসহ সবগুলো সড়ক দখল করে নিয়েছে। পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
প্রবাসে থেকে এমপি সেলিম ওসমানও এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। শুধু তাই নয়, রিতিমত তিনি হতাশ!
এমপি সেলিম ওসমান বলেছেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে এই রমজান থেকে আগামী কোরবাণীর ঈদ পর্যন্ত চাষাঢ়া থেকে খানপুর মেট্টো সিনেমা হল পর্যন্ত সলিমুল্লাহ সড়কের এক পাশে হলিডে মার্কেট করার ব্যবস্থা করা হয়েছে হকারদের জন্য। সপ্তাহে দুই দিন ও সরকারি ছুটির দিনে হকাররা হলিডে মার্কেট করছে। আবার বঙ্গবন্ধু সড়কসহ পূণরায় নগরীর অন্যান্য সড়ক গুলোও দখল করে নিয়েছে। পুলিশও হকারদের বাঁধা দিচ্ছে না। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এখন কি করা উচিৎ নগরবাসীর কাছে সেলিম ওসমান বিনীত ভাবে জানতে চেছেন।
নগরবাসী কি এমপি সেলিম ওসমানকে এবিষয়ে কোন পরামর্শ দেবে?
এদিকে নগরবাসীর মধ্যেও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে,শহরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে, যানজট মুক্ত ও হকার মুক্ত ফুটপাতের যে অঙ্গিকার করল নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে বসে মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভী, এমপি সেলিম ওসমান,এমপি শামীম ওসমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক ও পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল সেই অঙ্গিকারের মেয়াদ কি শেষ হয়ে গেছে? জনমনে আরো প্রশ্ন দেখা দেয়া অস্বাভাবিক নয় যে, পুলিশ মহাশয়গণ এমপি’র নিকট থেকে যে ৪৫ লাখ টাকা খেলেন, সেটিরও কি মেয়াদ শেষ হয়ে গেল এই দেড় হপ্তায়?