উপজেলা নির্বাচন আরো কয়েক মাস পরে অনুষ্ঠিত হবার ঘোষণা রয়েছে সরকারের। তাতে কি ? নির্বাচন হবে এমন ঘোষণা তো সরকারের কাছ থেকে এসেছে। এমন ঘোষণা পেয়েই শিরদার খাড়া হয়ে গেছে কতিপয় রাজনৈতিক নেতা এবং নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক ব্যাক্তিদের।
আজ বন্দর উপজেলার নির্বাচনি আবহাওয়া ছায়া চিত্র নিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করব। বেশ কিছু দিন ধরে দেখা যাচ্ছে বন্দর উপজেলায় সম্ভাব্য কিছু সংখ্যক প্রার্থীর নির্বাচনি তৎপরতা। তারা উপজেলার এমাথা থেকে সেমাথা চষে বেড়াচ্ছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন আগেও উপজেলার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। কেউ আবার বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। কেউ আছেন দলিয় মনোনয়নে বঞ্চিত হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। আবার কেউ বা একটি পরিবারের আশির্বাদ না পাওয়ার কারণে নির্বাাচনে অংশ নিতে সাহস পাননি।
তবে এবারের প্রেক্ষাপট বা মাঠের অবস্থা আগের মত নয়। অনেকটাই বদলে গেছে। ইতো মধ্যেই সরকার ঘোষণা দিয়ে পরিস্কার করেছে উপজেলা নির্বাচনে এখন থেকে আর দলীয় প্রতীক থাকবে না। এতে মনে হচ্ছে দল নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রার্থীদের অবমুক্তির সনদ দিয়েছে। এখন থেকে একই দলের একাধিক প্রার্থী আলাদা আলাদা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।
দল মুক্ত করে দেয়াতে বন্দর উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সংখ্যা একাধিক দেখা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে চলতি সময়ে উপজেলার চেয়ারম্যান এম এ রশিদের নামও শোনা যাচ্ছে। আর কেন্দ্র থেকে বিএনপি যদিও সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে তারা কোন নির্বাচনে অংশ নেবে না, এবং উপজেলা নির্বাচনের ঘোষণা আসার পরও বিএনপি ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি’র কেউ অংশ নিলে তার বিরুদ্ধে দল ব্যাবস্থা নেবে। তারপরও বিএনপি ঘরনার আতাউর রহমান মুকুলের নাম শোনা যাচ্ছে বন্দর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার। তিনি আগেও উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়ীত্ব পালন করেছেন। তিনি বিএনপি ঘরনার লোক হলেও ওসমান পরিবারের আশির্বাদপুষ্ট বলে অনেকে মনে করে থাকে। ইতো পূর্বে একাধিকবার আওয়ামী লীগের মঞ্চে তাকে বক্তব্য রাখতেও দেখা গেছে।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ানের নামও শোনা যাচ্ছে বন্দর উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার। এছাড়া আওমী ঘরনার কাজিম উদ্দিন প্রধান, মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, কলাগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী সালামের নামও শোনা যাচ্ছে। তারা সকলেই নিজ নিজ কৌশলে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে।
এদের মধ্যে আবু সুফিয়ান ছাড়া বাদবাকি অন্যরা নির্বাচনে কামিয়াব হওয়ার লক্ষ্যে ওসমান পরিবারের আশির্বাদের প্রত্যাশায় রয়েছেন এমনটা গুঞ্জন রয়েছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে আগামী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে।