ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সভাপতি ও সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমানের সিদ্ধান্তে শুক্রবার(১৫ মার্চ)থেকে নারায়ণগঞ্জ স্যার সলিমুল্লাহ সড়কে হলিডে হকার্স মার্কেট শুরু হলো। চাষাঢ়া খাজা মার্কেটের উত্তর পাশে সলিমুল্লাহ সড়কের এক লেনে হকাররা তাদের পশরা নিয়ে মিশনপাড়া মোড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর স্বপ্ন’র সামনে পর্যন্ত বসেছে। সেখানে ক্রেতাদেরও সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। সলিমুল্লাহ সড়কের এক লেন খালি রেখে অপর লেনে সপ্তাহে দুই দিন শুক্র ও শনিবার হকার্স হলিডে মার্কেট বসার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সেলিম ওসমান। তারা বসবে খানপুর মোড় মেট্টো সিনেমা হল পর্যন্ত। তবে সপ্তাহের দুই দিন শুক্র ও শনিবার ছাড়া বাদবাকি পাঁচ দিন রাস্তা ছেড়ে শুধু ফুটপাতে বসতে হবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নগরীর যানজট মুক্ত ও ফুটপাতে নাগরিক সুবিধায় স্বাভাবিক চলাচলের লক্ষ্যে গত ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। গোল টেবিল বৈঠকে উপস্থিত হয় সিটি কর্পোরেশন মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভী, সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান,সংসদ সদস্য শামীম ওসমান,জেলা প্রশাশক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক,পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল,নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব সভাপতি আরিফ আলম দিপুসহ বিভিন্ন সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ ও জনপ্রতিনিধি,সাংবাদিকগণ। বৈঠকে নগরীর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ফুটপাত হকার মুক্ত ও যানজট নিরসনে সকলে এক মত প্রকাশ করেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরদিন থেকে হকার উচ্ছেদ ও নগরীতে ব্যাটারি চালিত ইজি বাইক, মিশুক ও রিক্সা প্রবেশ বন্ধ করার কাজ শুরু করে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ বিভাগ। একার্যক্রম শুরু হলে ক্ষিপ্ত হয় হকাররা।
হকাররা পূণরায় ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। আর নারায়ণগঞ্জের কতিপয় ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ হকারদের পূণর্বহাল বা পূণর্বাসনের নামে আন্দোলন করার সহযোগীতা করতে থাকে এবং উস্কে দেয়। একই দাবিতে সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসনের বরাবর স্মারক লিপি দেয়। দফায় দফায় বৈঠক করে সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সাথে। সেলিম ওসমান তাদের মানবিক দিক বিবেচনা করে সলিমুল্লাহ সড়কে বসার প্রস্তাব দিলে হকাররা তা প্রত্যাক্ষাণ করে। সেলিম ওসমানও তখন কঠোর হন। হকারদের আর কোন কথাই শোনেন না তিনি। পরে একসময় সলিমুল্লাহ সড়কে বসতে রাজি হয় হকাররা।