Tnntv24.নাফিজ আশরাফ:
শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, সেনাবাহিনী বা আইনশৃংখলা বাহিনী প্রতিটি ফ্যাক্টরী পাহারা দিয়ে রাখবে তা হতে পারেনা। মালিক শ্রমিকদের মধ্যে যে দুরত্ব তা কমিয়ে আনতে হবে। কোন কারখানায় বা ফ্যাক্টরীতে শ্রমিক অসন্তোষ হলে শ্রমিকনেতা বা ট্রেড ইউনিয়নের সহায়তা আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করতে হবে। তিনি আইএলও কনভেশন অনুযায়ী শ্রম আইন মেনে প্রতিটি ফ্যাক্টরী চালানোর জন্য মালিকদের প্রতি আহবান জানান । সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারস এন্ড এক্সাপোটার এসোসিয়েশন ( বিকেএমইএ ) ভবনে নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে শ্রম শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব বলেন, রাস্তা অবরোধ করে বা গার্মেন্টস ভাংচুর করে শ্রমিকের মজুরি দ্বিগুন করতে হবে দাবি তুললে হবেনা। এটি বাস্তবায়ন করতে হলে একটি নিয়ম আছে। সরকারি মজুরি বোর্ড আছে। প্রতি বছর ৫ শতাংশ করে মজুরি বৃদ্ধি হয় । সেটির জন্য প্রসেস আছে সেই প্রসেস মানতে হবে শ্রমিকদের।
একই সাথে তিনি মালিকদের শ্রমিকদের কথা ধৈয্যধরে শুনার আহবান জানিয়ে বলেন, প্রয়োজনে মালিক শ্রমিকের দুরত্ব ঘুচাতে হলে ডায়লগ করতে হবে। তবে যে কোন মুল্যে শিল্পের চাকা সচল রাখতে হবে। তিনি বলেন, জুন -জুলাইয়ের আন্দোলনের কারনে অনেক ফ্যাক্টরী বন্ধ থাকার কারনে অনেক অর্ডার অন্যদেশে চলে গেছে।
বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, শ্রমিকদের যে কোন ন্যায্যতার সাথে বিকেএমইএ ও বিজেএমইএ কাজ করে। তিনি একটি চাইনিজ ফ্যাক্টরীর উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, শ্রমিক অসন্তোষ অব্যহত থাকলে বিদেশী কোম্পানীগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ না করে অন্য দেশে চলে যাবে। শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বলেন, সাত আট মাস আগে শ্রমিকদের বেতন ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা অনেক ফ্যাক্টরী এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তিনি বলেন, আশুলিয়ায় কয়েকটি ফ্যাক্টরীতে আমরা দেখছি শ্রমিকরা কিছু অদ্ভুত দাবি তুলছে ।
বিজেএমইএর সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, গত দেড় বছরে অর্ডার কম থাকাসহ নানা করনে ২৭০ টি ফ্যাক্টরী বন্ধ হয়ে গেছে। এই মুহুতে সাভার আশুলিয়া ও গাজীপুরে শ্রমিক অসন্তোষের কারনে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ অর্ডার অন্যদেশে চলে গেছে। তাই গার্মেন্টস সেক্টকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে গার্মেন্টস সেক্টরে স্থিতিশীলতা জরুরী বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এবং পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।