নারায়ণগঞ্জ রবিবার | ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ গ্রীষ্মকাল | ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
  সর্বশেষ
শিল্পখাতে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আত্মঘাতি,পুনবিবেচনার দাবি-না’গঞ্জ চেম্বার সভাপতি।Nafiz Ashraf.Tnntv24
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন ঝটিকা মিছিল নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা।Nafiz Ashraf.Tnntv24
মির্জা ফখরুল বলেছেন ভারত থেকে মোদিও আমাদের ধাক্কা দিয়ে কিছু করতে পারবে না।Nafiz Ashraf.Tnntv24
সংস্কারের আগে নির্বাচনের আয়োজন করা যাবে না-‘মার্চ ফর ড. ইউনূস’। Nafiz Ashraf.Tnntv24
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: রূপগঞ্জে জামায়াতের গণসংযোগ,লিফলেট বিতরণ:Nafiz Ashraf.Tnntv24
জানেন, আমরা মেয়েরা বাবার অপদস্থ হওয়ার ভিডিও দেখে রাতে ঘুমাতে পারছি না।Nafiz Ashraf.Tnntv24
বিএনপির জরুরি বৈঠকে তারেক রহমান সভাপতি।Nafiz Ashraf.Tnntv24
বিষ্ফোরক মামলায় হিরার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন, শুনানি ২০এপ্রিল।Nafiz Ashraf.Tnntv24
দেশ গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে চায় বিএনপি-নজরুল ইসলাম।Nafiz Ashraf.Tnntv24
হাজার হাজর পিঁপড়রা পাচার;কেনিয়ার বিমানবন্দরে চার চোরাকারবারি আটক:Nafiz Ashraf.Tnntv24
Next
Prev

শিশু রিয়া গোপ হত্যার মর্মান্তিক বর্ণনা জাতিসংঘের প্রতিবেদনে। Nafiz Ashraf.Tnntv24

শিশু রিয়া গোপ হত্যার মর্মান্তিক বর্ণনা জাতিসংঘের প্রতিবেদনে। Nafiz Ashraf.Tnntv24

Facebook
WhatsApp
LinkedIn
শিশু রিয়া গোপ হত্যার মর্মান্তিক বর্ণনা জাতিসংঘের প্রতিবেদনে। Nafiz Ashraf.Tnntv24

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে

শিশু রিয়া গোপ হত্যার মর্মাান্তিক বর্ণনা

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে

Tnntv24.নিজস্ব প্রতিবেদক:

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিজ বাড়ির ছাদে বাবার কোলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় নারায়ণগঞ্জ নগরীর ৬ বছর বয়সী শিশু রিয়া গোপ। সেই হত্যাকান্ডের তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনে। জাতিসংঘ তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, নারায়ণগঞ্জে একজন ৬ বছর বয়সী বালিকাকে তার বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে একটি বিক্ষোভের সহিংস সংঘর্ষ প্রত্যক্ষ করার সময় মাথায় গুলি করা হয়েছিল।

২০২৪ সালের জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে উত্তাল ছাত্র আন্দোলন দমনে সহিংস হয় আওয়ামী লীগ সরকার। আন্দোলনকারীদের উপর সরকার নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রীয় ও দলীয় বাহিনীর সশস্ত্র হামলায় হাজারো মানুষ মারা যায়। আন্দোলনের তীব্রতার মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে শিশু রিয়ার মৃত্যুর মর্মান্তিক বর্ণনা

 রিয়া গোপ

জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার তদন্ত করে জাতিসংঘ। বুধবার ( ১২ ফেব্রুয়ারি ) তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ১১৪ পৃষ্ঠার সুদীর্ঘ এ প্রতিবেদনের শিশুর প্রতি সহিংসতার অংশে নারায়ণগঞ্জের রিয়া গোপেকে হত্যার বিষয়টিও উঠে এসেছে।

নারায়ণগঞ্জ শহরের ব্যবসায়ী দীপক কুমার গোপের একমাত্র কন্যা রিয়া গোপ। গত বছরের ১৯ জুলাই দুপুরে শহরের ডিআইটি এলাকায় নিজেদের চারতলা বাড়ির ছাদে খেলছিলেন রিয়া গোপ। ওই সময় একটি গুলি রিয়া গোপের মাথার পেছনের অংশে লাগে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সেখানেই মৃত্যু হয় শিশু রিয়ার।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৯ জুলাই দুপুরে জুমার নামাজের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের উপর সশস্ত্র হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দলটির সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান তার ছেলে ইমতিনান ওসমান অয়ন, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটুকে নিয়ে ওই সন্ত্রাসী বাহিনীকে নেতৃত্ব দেন।

দুপুরে আন্দোলনকারীদের সাথে শামীম ওসমানের সন্ত্রাসী বাহিনীর সংঘর্ষ চলাকালীন রিয়া গোপ গুলিবিদ্ধ হন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

একমাত্র শিশু কন্যার মৃত্যুর পরদিন বাবা দীপক কুমার জানান,ওইদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, দুপুর থেকে সংঘর্ষ হচ্ছিল। আমরা ছাদে গিয়ে দেখেও আসি। পরে ঘরে এসে দুপুরের খাবার খাই। খাবার শেষে রিয়া ছাদে গিয়েছিল। এক পর্যায়ে গোলাগুলির শব্দ শুনে রিয়াকে আনতে আমি ঘর থেকে বেরিয়ে ছাদে যাই। ছাদে গিয়ে রিয়াকে কোলে নিতেই একটি গুলি এসে লাগে ওর মাথায়। নেতিয়ে পড়ে আমার বুকে। রক্তে ভেসে যায় আমার হাত।

শোকে কাতর রিয়ার পরিবার এখনও সেই দুর্বিষহ স্মৃতি কাটিয়ে উঠতে পারেননি। সমাজের মানুষজনের কাছ থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। প্রায় সময় তাদের সাথে নানানজন দেখা করতে আসলেও তারা নতুন করে দগদগে সে স্মৃতিচারণ করতে চান না। এমনকি জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন থানায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলো মামলা করলেও কন্যা হত্যার ঘটনায় কোনো মামলা করেনি রিয়ার পরিবার।

এদিকে, সারাদেশে সংঘটিত এ গণহত্যার তদন্ত করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর)। তারা ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত অভিযুক্ত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অবমাননা বিষয়ে একটি স্বাধীন ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন পরিচালনা করে। বাংলাদেশে ব্যাপক বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিত এবং তাৎক্ষণিক প্রভাব বুঝতে এ অনুসন্ধান চালানো হয়। অনুসন্ধান শেষে গত ১২ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

১১৪ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদন বলা হয়েছে, সাবেক সরকার এবং এর নিরাপত্তা ও গোয়েন্দাবাহিনী আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সহিংস উপায় ব্যবহার করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এতে শতশত বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড এবং হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বলপ্রয়োগ করা হয়। একইসঙ্গে নির্বিচারে আটক, নির্যাতন এবং অন্যান্য ধরনের নিগ্রহের ঘটনা ঘটে।
বিক্ষোভ এবং ভিন্নমত দমনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের অবগতি, সমন্বয় এবং নির্দেশনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের এসব ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করে ওএইচসিএইচআর।

এ সম্পর্কিত আরো খবর...

error: Content is protected !!