Tnntv24.নিজস্ব প্রতিবেদক:
শরতের শুভ্র আকাশে বইছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। পাঁচদিন ব্যাপী দুর্গাপূজার প্রস্ততি নিয়ে ব্যাস্ত নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। চলছে প্রতিমা তৈরীর শেষ পর্যায়ের কাজ। দেশে পটপরিবর্তন হলেও এ বছর উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা পালন করবে বলে জানান আয়োজকরা। এ বছর প্রতিমা তৈরীর কাজ কিছুটা কম ও পণ্যের দাম বেশী হওয়ায় আয় কমে গেছে শিল্পীদের। এদিকে শান্তিপূর্ন ভাবে পূজা উদযাপনে পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা পুলিশের শীর্ষ এ কর্মকর্তা। শাস্ত্র মতে, দেশে শুভ সংকেত দিয়ে দূর্গা আসবে এবং শুভ সংকেতেই কৈলাশ চলে যাবেন বলে জানান পূজারীরা।
শরতের কাশ ফুল মনে করে দেয় শারদীয় দুর্গার আগমনি বার্তা। কয়েক দিন বাকি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজার। কোন কোন মন্ডপে প্রতিমা রং হচ্ছে আবার কোন মন্ডপে প্রতিমায় তৈরী শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। নারায়ণগঞ্জে দুর্গাপুজা নিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে উৎসবের আমেজ। এ বছর উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা পালন করবে বলে জানান আয়োজকরা। এ বছর প্রতিমা তৈরীর কাজ কম ও পণ্যের দাম বাড়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিল্পীরা। আগামী ৯ অক্টোবর মহাষষ্টীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে শেষ হবে দুর্গা পূজা। হিন্দু শাস্ত্র মতে, এবার শুভ সংকেত নিয়ে দেবী দুর্গা আসবে দোলায় চড়ে। আর সুখবর দিয়ে বিদায়ও নিবে ঘটকে (ঘোড়ায়) চড়ে। এ বছর ১০ টি কমে ২১৪ টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। কাজ করবে মোবাইল টিম। প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে, রংসহ সমস্ত কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানান প্রতিমা তৈরীর শিল্পীরা। এখন নাওয়া খাওয়া ভুলে দিন-রাত কাজ করছেন তারা। এ বছর প্রতিমা তৈরীর কাজ কম, দেরীতে চুক্তি পাওয়া ও পণ্যের দাম বেশী হওয়ায় আয় কমে গেছে বলে জানান শিল্পীরা।
হিন্দু শাস্ত্র মতে, এবার শুভ সংকেত নিয়ে দেবী দুর্গা আসবে দোলায় চড়ে। তাই শর্ষপূর্ণ দেশে ব্যাপক ফসল ফলাদী ফলবে। আবার শুভ সংকেতেই ঘটকে চড়ে বিদায় নিবে।
দেশে পটপরিবর্তন নানা ধারনার অবসান ঘটিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা পালন করার যাবতীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ধর্ম যারযার উৎসব সবাই পালন করবে জানিয়ে পুজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন নারায়ণগঞ্জ একটা অসাপ্রদায়িক এলাকা আমরা হিন্দু মুসলমান ধর্মীয় সহঅবস্থানে বাস করে অবস্থ। আমরা বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত, ইসলামী আন্দোলনে নেতৃবৃন্দেও মিটিং করেছি। তারা সবাই পুজার সময় স্বেচ্চাসেবক দিয়ে সাহায্য করবে। সবার সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণ ভাবে দূর্গোৎসব সম্পন্ন হবে বলে তারা মনে করেন।
সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ন ও উৎসব মূখর পরিবেশে পূজা উদযাপনে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানিয়ে জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, এখানে আগের চেয়ে অধিক ঝুঁকিপুর্ন ৬০ টি মন্দির আছে সেখানে দুইজন পুলিশের জায়গায় তিন পুলিশ সহ আনসার থাকবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। তিনি বলেন, সব সময় দুস্কৃতকারী নাশকতাকারী তারাত নাশকতা করার চেষ্ট করতেই পারে, এ আশংকা সব সময় থাকে, এখনো আছে, হয়ত ভবিষ্যতেও থাকতে পারে, সে গুলো ওভারকাম করাই পুলিশের কাজ।