মসজিদের সভাপতির পদ নিয়ে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ,
ছাত্রদল নেতা অংকনকে কুপিয়ে জখম
Tnntv24.নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মসজিদ কমিটির সভাপতি পদ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে একপক্ষ। শুক্রবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের মিঠাবো এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা অংকন মিয়া
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার মিঠাবো এলাকায় মিঠাবো জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হতে গত ৩ সপ্তাহ ধরে আগের কমিটির লোকজনকে জোরপূর্বক বল প্রয়োগ করে আসছিল ঐ এলাকার রূপগঞ্জ উপজেলার সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শুক্কুর আলী মোল্লা নামে বিএনপি নেতা। এ নিয়ে সমাজের লোকজনের মধ্যে গত দুই সপ্তাহ ধরে বিরোধ চলে আসছিল ।
এদিকে গত শুক্রবার জুমার নামাযের পর নিজেকে সভাপতি হিসেবে ঘোষণা দেন শুক্কুর আলী মোল্লা । এনিয়ে শুক্কুর আলী ও তার লোকজনের সাথে সমাজের লোকজনের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এ ঘটনায় শুক্কুর আলী ১০/১২ জনকে আসামী করে রূপগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগের কোন সত্যতা না পাওয়ায় অভিযোগটি আমলে নেয়নি। পরে বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন শুক্কুর আলী। এদিকে গতকাল ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার জুমার নামাযের পর শুক্কুর আলীকে মামলার কারন জানতে চাইলে সেসহ তারভাই শাহাদাত হোসেন মোল্লা, ছেলে সনেট মোল্লা, সজল মোল্লা, সানী মোল্লা ভাড়াটে সন্রাসীসহ তাদের লোকজনের সাথে সমাজের লোকজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
এর জের ধরে বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে শুক্কুর আলীসহ তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মিঠাবো এলাকার রুমানের বাড়ী ঘরে হামলা ও ভাংচুর করে। বিষয়টি ভুলতা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি অংকন ভুইয়া এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা তাকে এলোপাথারী কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় তাকে বাচাতে এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা অংকনের চাচা ভুলতা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মুরাদুল ইসলাম মুরাদ, রুমান ও সৈকতকে আহত করে। গুরুতর আহত অংকনকে প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এদিকে খবর পেয়ে পু্লিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। আহত অংকনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে শুক্কুর আলী মোল্লার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোস রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য ২০০১ সালে শুক্কুর আলী মোল্লা পাশের বাড়ির হাছিনা বেগম নামে এক মহিলাকে ধর্ষন করার সময় তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে। ঐ সময় বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়।
এব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, মসজিদের সভাপতির পদ নিয়ে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন