ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেছেন সংস্কারের জন্য
অন্তর্বর্তী সরকারকে যথেষ্ট সময় দিতে হবে
Tnntv24.অনলাইন ডেক্স:
বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাবে রাজনৈতিক রূপান্তর। তবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার মনে করেন, নির্বাচনের আগে সংস্কার কাজের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে যথেষ্ট সময় দিতে হবে।
সোমবার (৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টকে’ তিনি একথা বলেন।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, জামায়াত ইসলামি বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল সম্প্রতি ব্রাসেলস সফর করে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। অন্যান্য দলগুলোও ইইউ’র রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে বলে তিনি জানান।
রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়ে মাইকেল মিলার বলেন, রোহিঙ্গারা রাখাইনে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আমরা একটি রাজনৈতিক সমাধান চাই এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে আমরা মিলিটারি কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। আমরা ২০১৭ থেকে ৫০ কোটি ইউরোর মতো সহায়তা দিয়েছি। এখন সহায়তার পরিমাণ কমে আসছে এবং এজন্য আমরা রোহিঙ্গাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল করতে চাইছি।
মানবিক করিডোরের বিষয়ে তিনি বলেন, উদ্বাস্তুরা যে দেশেই থাকুক না কেন, আমরা তাদের সহায়তা করতে পারলে খুশি হবো। যদি সীমান্তের ওপারে থাকে, তবে তাদের সহায়তা করার জন্য আমাদের একটি চ্যানেল লাগবে।
বাংলাদেশ থেকে ইইউ’র দেশগুলোতে অর্থপাচার হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, অর্থপাচারের ক্ষেত্রে ইইউ কাজ করবে না, বরং সদস্য দেশগুলোর বিচার বিভাগ কাজ করবে। সদস্য দেশগুলোর বিচার বিভাগকে প্রমাণাদি দিতে হবে অপরাধ সম্পর্কে এবং তারা সেগুলো বিবেচনা করবে। তবে, এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে কয়েক বছর লেগে যায়।
বাংলাদেশ ও ইইউ’র মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি হবে মৌলিক অধিকার ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা জানিয়ে তিনি বলেন, আমার জীবদ্দশায় ইউরোপের প্রায় অর্ধেক দেশ কর্তৃত্ববাদ থেকে গণতন্ত্রের পথে এসেছে এবং এই কাজটি বাংলাদেশ এখন করছে।
বাংলাদেশের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা এবং সুশীল সমাজকে গুরুত্ব দেওয়া। আমরা চাই, বাংলোদেশ তার অর্থনীতি উন্মুক্ত করুক— যাতে করে ইউরোপের কোম্পানিগুলো এখানে ব্যবসা করতে পারে। পানি, ডিজিটাল, পরিবহন, জ্বালানি, অবকাঠামোসহ অন্যান্য খাতে ইউরোপের কোম্পানিগুলো আগ্রহী বলে তিনি জানান।