Tnntv24.বিশেষ প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় রয়েল রিসোর্ট কান্ডে হেফাজত কর্মী মাওলানা ইকবাল হোসেন নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে হেফাজত ইসলামের সমর্থক ফয়সাল মাহমুদ হাবিবী বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল বারী। তবে মাওলানা ইকবাল হোসেনের পরিবারকে না জানিয়ে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ছেলে এনামুল হক ইমরান।
মঙ্গলবার তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে স্ট্যাটাসে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এ মামলায় অনেক নিরপরাধ মানুষকে আসামি করা হয়েছে। তাদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের আসামি করার দাবি করেন।
মামলায় সাবেক সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু ও আবদুল্লাহ আল কায়সারসহ ৬২ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, মো. জাবেদ পারভেজ, নারায়ণগঞ্জের ডিবির সাবেক ওসি মো. এনামুল কবির ও সোনারগাঁ থানার সাবেক ওসি মো. হাফিজুর রহমানকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলায় হেফাজত ইসলামের সমর্থক ফয়সাল মাহমুদ হাবিবী উল্লেখ করেন, কেন্দ্রীয় ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক তার স্ত্রীসহ গত ২০২১ সালের ৩রা এপ্রিল রাতে সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্ট হোটেলে অবকাশ যাপনের জন্য আসেন। ওই সময় দুই সাবেক সাংসদের ষড়যন্ত্রে পুলিশ প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে এজহার নামীয় আসামীরাসহ ১শ- দেড়শ আসামী মামুনুল হককে স্ত্রীসহ হেনস্তা করে রিসোর্ট থেকে বের করে দেয়। পরে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সোনারগাঁয়ের হেফাজত কর্মী মাওলানা ইকবাল হোসেন ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় মামুনুল হককে স্ত্রীসহ হেনস্তার জোরালো প্রতিবাদ করেন। এসময় আজহার নামীয় আসামীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কিল, ঘুষিসহ লোহার রড দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। আহত অবস্থায় তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করে। ওই সময় পুলিশ তাকে রিমান্ডের নামে পুলিশ নির্যাতন করে। নির্যাতনে ইকবাল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করে। অসুস্থ অবস্থায় তিনি ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টায় মারা যান।
তিনি এজহারে আরো উল্লেখ করেন, ওই সময় বিরূপ পরিস্থিতির কারনে মাওলানা ইকবাল হোসেনের পরিবার মামলা করতে সাহস পাননি। বর্তমানে পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় তার পরিবারের পক্ষে মামলা দায়ের করেন।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল বারী বলেন, হেফাজত ইসলামের সমর্থক ফয়সাল মাহমুদ হাবিবী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। তদন্তে মামলার কোন আসামির সম্পৃক্ততা না পেলে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল বারী বলেন, হেফাজত ইসলামের সমর্থক ফয়সাল মাহমুদ হাবিবী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। তদন্তে মামলার কোন আসামির সম্পৃক্ততা না পেলে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।